রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে পারে এমন শঙ্কায় বিশ্বব্যাপী নিত্যনতুন ইস্যুতে দেশ, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের ওপর নানামুখী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। যে কোনো দেশ বা ব্যক্তির ওপরই এসব নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। বাদ যায় না সেনাকর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা।
তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে জাতীয় স্বার্থে নিজ দেশের রপ্তানিকারকদের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পিছপা হয় না ওয়াশিংটন।
এবার নিজ দেশের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চিপ নির্মাতাদের চীনাদের কাছে চিপ তৈরির যন্ত্রাংশ সেমিকন্ডাক্টর বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এমনটি জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন এই পর্যায়ে চীনে চিপ রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করতে নিজ দেশের কিছু রপ্তানিকারকের কালো তালিকা তৈরি করছে। নাম না উল্লেখ করে এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, বড় পরিসরে চীনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চিপ রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কারিগরি পরিসরের কথা বিবেচনায় এনে নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, সাংবাদিকদের টার্গেট করার কারণে গত ১৯ জুলাই গুয়াতেমালার ১০ কর্মকর্তার ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ তালিকায় আরও রয়েছে নিকারাগুয়ার ১৩ জন, হন্ডুরাসের ১০ জন ও এল সালভাদরের ৬ জনের নাম।
মাহসা আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইরানের ২৯ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে- ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিস)‘র ১৮ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী (এলইএফ) এবং ইরানের কারাগার সংস্থার প্রধানসহ ২৯ জন ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে ইরানের ইন্টারনেট অবরোধের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম আউটলেটকেও লক্ষ্যবস্তু করে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে বন্দি বিনিময় ইস্যুতে সম্পর্কোন্নয়নের মাঝেই ফের গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এবং দেশটির গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একদিন না যেতেই তেহরানের ড্রোন ব্যবহার ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করার অভিযোগে ইরানসহ তিন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।