যে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে জেল খাটছেন স্বামী, সেই স্ত্রী করছেন অন্য সংসার

::
প্রকাশ: ২ years ago

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক: 
বাস্তব জীবনের কিছু কিছু ঘটনা গল্পকেও যেন হার মানায়। নিজের মৃত্যুর গল্প ফাঁদতে আচমকা বাড়ি থেকে উধাও! তারপর একটি মৃতদেহও পাওয়া যায়। আরও জোরদার হয় গল্পের প্লট! স্ত্রীকে খুনের দায়ে জেল হয় স্বামী ও তার বন্ধুর। কিন্তু সেই ঘটনা ৬ বছর পর অবশেষে সেই গল্পের পর্দা উঠল।

৬ বছর আগে ‘খুন হওয়া’ স্ত্রীকে ২য় বরের সঙ্গে ধরলেন জেলখাটা ১ম স্বামী! শুধু খুঁজে পাওয়া-ই নয়, দেখা গেল ওই মহিলা উধাও হয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন। তারপর এখন দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের।

এই ঘটনায় হতভম্ব সবাই।

এই গল্পের মুখ্য চরিত্র হলেন আরতী। তাকে খু’নের দায়ে ইতিমধ্যেই ১৮ মাস জেল খেটে ফেলেছেন তার প্রথম পক্ষের স্বামী সোনু সাইনি (৩২)। সেইসঙ্গে ৯ মাস জেল খেটেছেন সোনুর বন্ধু গোপাল সাইনিও (৩০)। এমনকি আরতীকে খু’নের দায়ে স্বামী সোনু সাইনি ও গোপাল সাইনিকে গ্রেফতার করার জন্য তদ’ন্তকারী পুলিশ অফিসারকে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কারও দেওয়া হয়েছিল।

সেই আরতীকেই পাওয়া গেল জীবিত অবস্থায়। তাজ্জব করা এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার দুটো আধার কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। যেখানে দুটি আধার কার্ডে ওই মহিলার দুটি জন্মতারিখের উল্লেখ রয়েছে।

২০১৫ সালে বৃন্দাবনের ভাড়া বাড়ি থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যান আরতী দেবী। এরপর একটি অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। যেটি তার নিখোঁ’জ মেয়ের দেহ বলে শনাক্ত করেন আরতী দেবীর বাবা। এখন আরতি দেবীর স্বামী সোনু সাইনি ও তার বন্ধু গোপাল সাইনি একটি রেস্তোরাঁতে কাজ করতেন।

আরতী দেবীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে তাদের খু’নের দায়ে গ্রেফতার করে বৃন্দাবন পুলিশ। এখন সেই ঘটনার ৬ বছর পর ফাঁ’স হল আসল ঘটনা। নাটকের পর্দা উঠল। ‘মৃ’ত’ আরতী দেবীকে খুঁজে বের করেছেন খু’নের দায়ে অভিযুক্ত ও জামিনে মুক্ত সোনু এবং গোপালই। তারপরই তারা মথুরা পুলিশকে খবর দেন। ওই মহিলাকে আ’টক করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কদিন আগেই ঠিক এরকমই একটি ঘটনা সামনে আসে উত্তরপ্রদেশে। বেঁচে ফেরে ৭ বছর আগে ‘খুন’ নাবালিকা! এদিকে তখনও জেলে অভিযুক্ত। শুধু জীবিত অবস্থায় পাওয়া যাওয়াই নয়, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ওই নাবালিকা রীতিমতো বিয়ে করে হাথরসে স্বামীর সঙ্গে সংসারও করছে! এখন ওই নাবালিকার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্ট করবে পুলিশ।