সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশের নাসির হোসেনকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আইসিসির দুর্নীতি দমনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
তবে দুর্নীতির দায় স্বীকার করে নেওয়ায় দুই বছরের শাস্তি পেলেও সেখান থেকে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করেছে আইসিসি। তাতে দেড় বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হবে নাসিরকে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের নীতির তিনটি ধারা ভঙ্গ করায় তাকে এই শাস্তি দিল আইসিসি। তিনি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। যার অর্থ এরই মধ্যে প্রায় তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে আইসিসির দুর্নীতি দমনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে আইসিসি। পরে সেটার তদন্ত শুরু করে আইসিসি। পরে নাসির হোসেন তিনটি অভিযোগ স্বীকার করেন। ফলে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে আইসিসির দুর্নীতি দমনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বীকার করায় তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে যে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ইসিবির ২.৪.৩ ধারায় তিনি দুর্নীতি তদন্তের (আকসু) দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে অন্তত ৭৫০ ইউএস ডলারের উপহার নেওয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ হলো, তিনি আইফোন-১২ উপহার হিসেবে নিয়েছেনা, যা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিতে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া ২.৪.৬ ধারায় তিনি তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিতে সহযোগিতা করেননি এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসি তাদের বার্তায় জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং সাজা মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন। সেজন্য নতুন করে শুনানির দরকার পড়েনি।
২০১১ থেকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে ১১৫টি ম্যাচ খেলেছেন নাসির। যেখানে ২৬৯৫ রানের পাশাপাশি ৩৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সব শর্ত পূরণ করতে পারলে নাসির ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য যোগ্য হবেন।