আবাসিক আইন (রেসিডেন্সি আইন) অমান্য করলে অর্থাৎ অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় ও সহায়তা দিলে তাহলে ওই সব প্রবাসীকে সঙ্গে সঙ্গে কুয়েত থেকে বের করে দেয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে।
এই চুক্তি অনুযায়ী, জিব আল সুয়োখ এবং খাইতানের দু’টি অব্যবহৃত স্কুলকে ডিটেনসন সেন্টারে রূপান্তর করা হবে। যেখানে, বিশেষ করে, রেসিডেন্সি আইন ভঙ্গকারীদের সেখানে আটকে রাখা হবে।
দেশটিতে এখন প্রায় দেড় লাখ অভিবাসী এমন অপরাধে আটক রয়েছেন। এর আগে, স্কুল দুটিকে ডিটেনশন সেন্টারে রূপ দেয়া হচ্ছে, যেন পুলিশের যে হাজত ও নির্বাসন কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর থেকে চাপ কমানো যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন দুটি ডিটেনশন সেন্টারে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ চালাবে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব টাইমস রোববার (২৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, রেসিডেন্সি আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার অংশ হিসেবে প্রবাসীদের এ সতর্কতা দেয়া হয়েছে। অপরদিকে যদি কোনো কুয়েতি নাগরিক অবৈধ অভিবাসীদের সহায়তা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শেখ তালাল আল খালেদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লেফটেনেন্ট জেনারেল আনওয়ার আল বারজিস নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, আইন ভঙ্গকারীদের খুঁজে বের করতে যেন বিশদ পরিকল্পনা করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের এই ধনী দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের অনেককে জিব আল সুয়োখ, খাইতান, ফারওয়ানিয়া, মাহবোউলা, আমঘাড়া, আল মাজরা এবং আল জাওয়াখিরে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। তাই ওইসব এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটিতে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি করবে, বিশেষ করে যেসব দেশের নাগরিকরা রেসিডেন্সি আইন বেশি ভঙ্গ করেন, সেসব দেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক শক্তিশালী করা হবে। এতে করে আইন অমান্যকারীদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সহজ হবে।