যেভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

গঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ২৭ মে সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এটি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বর্ষা পূর্ববর্তী প্রথম গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্নিঝড়।

কিন্তু এর নাম রেমাল কেনো? কিভাবে নামকরণ করা হয়েছে ঘূর্নিঝড়টির?

রেমাল একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে বালু।

এই নামটি ওমানের দেয়া। আরব সাগরের তীরে অবস্থিত একটি দেশ কেনো বঙ্গোপসাগরের একটি ঘূর্নিঝড়ের নামকরণ করলো? কারণ হচ্ছে ওমান ১৮৫ সদস্যের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সদস্য।

অপরদিকে, দ্য ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইসকাপ) হচ্ছে জাতিসংঘের ইকনোমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিলের অধীনে থাকা একটি সংস্থা, যারা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য কাজ করে থাকে।

উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্নিঝড় বিষয়ক সতর্কতার গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা ১৯৭২ সালে ঘূর্নিঝড় বিষয়ক একটি প্যানেল তৈরি করে। প্রথমদিকে প্যানেলটির সদস্য ছিল আটটি দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ওমান ও থাইল্যান্ড।

২০০০ সালে ওমানের মাসকটে প্যানেলটির ২৭তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্নিঝড়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্যানেলের প্রতিটি দেশ ঘূর্নিঝড়ের বিভিন্ন নাম সুপারিশ করার পর ২০০৪ সালে ঘূর্নিঝড়ের নাম গৃহীত হয়। ২০১৮ সালে ইরান, সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেনকে প্যানেলের সদস্য করা হয়।

২০২০ সালের আগস্টে প্যানেলটি ১৩টি দেশের সুপারিশ করা ১৬৯টি ঘূর্নিঝড়ের নাম প্রকাশ করে, এবং এই তালিকা অনুযায়ী বর্তমাণে ঘূর্নিঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে।

ঘূর্নিঝড়ের নামকরণের ফলে মানুষ সহজে ঘূর্নিঝড়কে মনে রাখতে পারে। নামের মাধ্যমে একটি ঘূর্নিঝড়কে সহজে চিহ্নিত করা যায়, আগেভাগে সতর্ক করা যায় এবং একাধিক ঘূর্নিঝড়ের ক্ষেত্রে আলাদা করা যায়।

বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়কে নামকরণ করার পদ্ধতি রয়েছে।