যুবলীগ নেতাকে মারধর ও গুলি করলেন চেয়ারম্যান!

:: পা.রি. ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১ বছর আগে
সংগৃহীত ছবি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ওয়ার্ড যুবলীগের এক নেতাকে মারধর ও পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী মো. হোসেনের দাবি, তাকে ‘নৌকার লোক’ বলে কটাক্ষের প্রতিবাদ করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করা চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের নেতৃত্বে তাকে তুলে নিয়ে মারধর ও তার পায়ে গুলি করা হয়।

অভিযোগকারী হোসেন চরজব্বর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি ও একই এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার দাবি, গতকাল দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি জানিয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ বলেছেন, লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ দুপুরে যুবলীগ নেতা হোসেন বলেন, ‘‘গতকাল চেউয়াখালী বাজারে গেলে স্থানীয় রাশেদ ও তার সহযোগীরা আমাকে ‘ওই নৌকার লোক আইছে’ বলে কটাক্ষ করে। প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে মারধর করে এবং নৌকার বিরোধীতা করে বহিষ্কার হওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুককে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। তিনি আমাকে গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে আমার পায়ে গুলি করা হয় এবং আমাকে ব্যপক নির্যাতন করা হয়।’’

তার বর্ণনায়, ‘গত ইউপি নির্বাচনে আমি নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের পক্ষে ভোট করি। এ নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক আমার ওপর ক্ষুব্ধ। তাই আমাকে অমানুষিক নির্যাতনের পর চেয়ারম্যান চৌকিদার দিয়ে একটি অটোরিকশায় করে হাসপাতালে পাঠায়। আমি কিশোর গ্যাং লিডার রাশেদ ও চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

জানা যায়, অভিযুক্ত ওমর ফারুক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোট করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

তবে মারধর ও গুলির অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ‘গত কয়েক দিন থেকে চরজব্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় চুরি হচ্ছে। গত শুক্রবার ভূঁইয়ার হাটের একটি দোকানে চুরি হয়। স্থানীয় লোকজন চোর সন্দেহে হোসেনকে আটকে রেখে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি হোসেনকে উদ্ধার করে চৌকিদারকে দিয়ে নিয়ে হাসপাতালে পাঠাই।’

এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ বলেন, এ বিষয়ে কেউ এখনো থানায় অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।