যুদ্ধসন্তানদের নিঃশর্ত রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চায় নারীপক্ষ

::
প্রকাশ: ২ years ago
নারীপক্ষ আয়োজিত ১৯৭১-এর যুদ্ধসন্তানদের অধিকারবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সকল যুদ্ধসন্তানকে নিঃশর্তভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে সম্মানসূচক অবস্থানে স্থাপন করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে নারীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নারীপক্ষ।

বৃহস্পতিবার নারীপক্ষ আয়োজিত ১৯৭১-এর যুদ্ধসন্তানদের অধিকারবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি উঠে আসে।

স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও একাত্তরের যুদ্ধসন্তানরা নিজ দেশে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিটুকু পায়নি।

যুদ্ধসন্তানদের অধিকার ও তাদের সাথে সংহতি প্রকাশের এ উদ্যোগে নারীপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নাগরিক উদ্যোগ, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, দুর্বার নেটওয়ার্ক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সংহতি প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সংহতিপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষের সদস্য ও যুদ্ধসন্তান ‘৭১ কর্মসূচির সমন্বয়কারী সেঁজুতি নূরে মাকসুরাত।

সংহতিপত্রে বলা হয়, ১৯৭১ সালে যুদ্ধসন্তানদের জন্ম ও অস্তিত্ব প্রত্যাশিত ছিল না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের মায়েদের এই সমাজ ও পরিবার পরিত্যাগ ও অস্বীকার করেছে। কিছুসংখ্যক যুদ্ধসন্তানকে দত্তক হিসেবে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশিরভাগই এই দেশে নিগৃহীত ও নিপীড়িত জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছেন।

সংহতিপত্রে যুদ্ধসন্তানদের জন্ম অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারীপক্ষের নেওয়া উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়। দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সকল যুদ্ধসন্তানদের পরিচয়কে নিঃশর্তভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান ও সমাজে সম্মানসূচক অবস্থানে স্থাপন করার মাধ্যমে তাদের প্রতি গত ৫১ বছরের রাষ্ট্রীয় অবহেলার অবসান ঘটানোই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার সাধারণ সম্পাদক সাইদা আখতার বলেন, যুদ্ধশিশুদের বিষয়টা মানবিক বিষয় ভাবলে ভুল হবে, এটা অধিকার আদায়ের বিষয়’।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, সমাজ যুদ্ধশিশুদেরকে এক ধরনের পরিচয় সংকটে ভোগাচ্ছে। যুদ্ধসন্তানদের জন্মের সাথে বাংলাদেশের জন্ম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সমাজের মানুষ যদি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে পারে, তাহলে যুদ্ধসন্তানদেরও স্বীকৃতি দিতে বাধ্য।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন নারীপক্ষের সদস্য ইউ এম হাবিবুন নেসা, নারীপক্ষের সদস্য শিরীন হক, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) সিনিয়র অ্যাডভোকেসি অফিসার মো. রবিউল হোসেন মজুমদার প্রমুখ।