ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রুশ সম্পদ জব্দ করা হলে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে বিভ্রমের মাঝে থেকে কাজ করা উচিত নয়। সেই দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক দুই হাতে আঁকড়ে আছে রাশিয়া।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে মার্কিন সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক শূন্যের নিচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছিল মস্কো। প্রায় ২২ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে কিয়েভের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ১১০ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা দিয়েছে দেশটি। আরও ৬০ বিলিয়ন ডলালের অর্থ সহায়তার প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে আটকে আছে।
রিয়াবকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পদক্ষেপ প্রথমে রাশিয়া নেবে না। তবে বিভিন্ন কারণে সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতে পারে। যেমন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, সামরিক সহায়তা দেওয়া বৃদ্ধি কিংবা আরও অনেক কারণ হতে পারে। আমি এখানে কোনো নেতিবাচক পূর্বাভাস দিব না। তবে মস্কো যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি আছে।
২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে কিয়েভকে অব্যাহত সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা। এমনকি এই যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার জব্দকৃত ৩০০ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বেশ কয়েক জন পশ্চিমা নেতা।
তবে শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় মারাত্মক আঘাত হানবে। রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে এমন দেশকে তারা কখনো শান্তি থাকতে দেবে না। এমনকি প্রতিশোধ হিসেবে পশ্চিমাদের কী ধরনের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যায় সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।