র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে কি না, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, কেউ কেউ এমন ধারণা করছেন। তবে সরকার থেকে আপাতত নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করা হচ্ছে না।
ভিসানীতি ইস্যুতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী পক্ষ একে অপরকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। ভিসানীতি সব দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য- এমনটি তুলে ধরা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভিসানীতির ফলে বিএনপি নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে। সরকারের চেয়ে বিএনপিই চাপে থাকবে, তাদের জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হবে। আর বিরোধী পক্ষ ভিসা ইস্যুটি সরকারের ওপর একটি কঠিন চাপ বলেই প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর গত এক সপ্তাহ ধরে এই ইস্যুতে দেশের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় চলছে। আর এর মধ্যেই কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তবে সরকার থেকে আর কোনো নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করা হচ্ছে না।
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বলছে সরকার
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র কোনো নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা দেয়। আর তারা বলে কয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয় না।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিষেধাজ্ঞার কোনো আশঙ্কা নেই। নিকট ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র কী চায়
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়, তা সবসময় বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বিগত দিনে ঢাকা সফরে এসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকগুলোতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের তাগিদও দিয়ে আসছিলেন।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন সরকারের পররাষ্ট্রনীতিই হলো বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা ও মানবাধিকার রক্ষা। সারা বিশ্বেই গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় জোর দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। একইভাবে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, সে লক্ষ্যেই নতুন ভিসানীতির ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে গেল ২৪ মে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িতদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করবে দেশটি।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net