মোহাম্মদ আব্দুল আজিজের এক ডজন রোমান্টিক লিরিকস

:: কলরব ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

প্রথম দেখার ক্ষণ

দিন ক্ষণ ঠিক জানা নেই
ছিল এক সকাল,
তোমার সাথে প্রথম দেখা
সেটাই ছিল কাল।।

সেদিন থেকে ঘুম হারালাম
নিত্য ভোরের সুখ হারালাম
নীল অম্বরের মিল হারালাম
সুরের মাঝে তাল হারালাম
এ কেমন ফাঁদে পা বাড়ালাম?
শক্ত মায়ার জাল,-ঐ

সেই সকালের স্মৃতি আমার
এখন শুধুই হল যে সার
বুকের মাঝে দুখের পাহাড়
অকূলে কূল ভয় হারাবার
দিনের পরে মাস হল পার
এল নতুন সাল। ঐ

 

পীঠের ’পরে

পীঠের ’পরে আছড়ে পড়ে
দীঘল কালো চুল,
সেই চুলের ঝলকে
চোখেরই পলকে
(হায়) করেছি কী যে ভুল??

মুখের হাসি পরাল ফাঁসি
নাই যে কোন তুল,
তার রুপের কাছে
কত বাহার আছে
(হায়) ফুটেছে যেন ফুল, ঐ

তাহারই তরে যাব যে মরে
হারাব জাতি-কুল,
কি যে এখন করি?
ভেবে শুধুই মরি
(হায়) ভাবনা হল মূল, ঐ

 

ওই কলসি কাঁখে

ওই কলসি কাঁখে হেলেদুলে
আলতারাঙা পায়,
নদীর ঘাটে জল ভরিতে
প্রাণ পরানি যায়(গো)??

সে পরানি রূপের সাগর
দিনে দিনে হইছে ডাগর
তারই রূপে সাঁতার কেটে
প্রাণ: আমার যায়,-ঐ

প্রাণ পরানি লাজুক লতা
মুখ দিয়ে সে কয়না কথা
প্রেমের কথা শুনলে সে তো
লাজেই মরে যায়,-ঐ

হায়! সে পরানি কুলবালা
নিতি আমায় দেয়রে জ্বালা
কলসি কাঁখে যাবার কালে
পরান নিয়া যায়। ঐ

 

কেমন আছ তুমি?

কেমন আছ তুমি?
সুখের স্বর্গে বসত কর
নাকি দুঃখের সাগরে ভাসা?
(আমার) জানতে বড় আশা (।।)

তুমি কি সাথি নিয়ে যাচ্ছ রচে নিশীরাতে
সুখের বাসর?
নাকি সহপাঠীর আড্ডায় মজে পড়ার ফাঁকে
জমাও আসর?
নাকি একা একা কাজের শেষে ক্লান্ত মনে
ফিরছ বাসা? ঐ

তুমি কি সেই ছোট্টবেলায় যেমনি ছিলে
তেমনি অবুঝ?
তোমার মনের চাওয়া পাওয়া এখনো কি
তেমনি সবুজ?
নাকি যৌবনে পা রেখেছ বুনছ রঙিন
স্বপ্ন-আশা? ঐ

আমি হাজার বছর ধরে

আমি হাজার বছর ধরে
তোমাকে নিয়েই শুধু ভাবলাম,
(আমি) বিনিময়ে কী বা পেলাম?

ভালবাসার নীল চোখে
শত আশায় এই বুকে ।।
তোমারই ছবি শুধু আঁকলাম, ঐ

সাতরঙ্গে রাঙ্গা মন
ভালবাসার মধুক্ষণ।।
তোমারই তরে তুলে রাখলাম,ঐ

সুখের স্বর্গ ফেলে
আশারই প্রদীপ জ্বেলে।।
তোমারই পথ চেয়ে থাকলাম। ঐ

বল বল বলনা

বল বল বলনা
ছবি দেখে কবি হলাম
তোমায় দেখে হব কি তাই বলনা?

অধরে মায়া আঁকা
দেখে মন যায়না রাখা
চোখেতে কাজল রেখা
মনে হয় স্বপ্নে দেখা
অপরূপা অনন্যা সেই ললনা,-ঐ

হবে কি মোর প্রেয়সী?
আমি যে প্রেম পিয়াসি
এ মনে হাসিহাসি
পরেছি প্রেমের ফাঁসি
নয় অভিনয় নয়, নয় ছলনা,-ঐ

দুজনে একই সাথে
রেখে হাত দুটি হাতে
গেয়ে কোন নতুন সুরে
হারিয়ে যাই কোথাও দূরে
দুটি মন এক হয়ে যাই চলনা। ঐ

কোন এক রূপসীর গল্প

শোন কোন এক রূপসীর
গল্প বলে যাই,
যে রূপসীর তুলনা সে-ই
আর তো কেহ নাই।।

সেই রূপসী বললে কথা
রাঙ্গা দুটি ঠোঁটে,
বুকের সব কথাগুলো
গোলাপ হয়ে ফোটে।

তার মায়াবি কাজল চোখে
শুধুই কাছে টানে,
তারে পেতে বিশ্বটা যেন
ছুটে তারই পানে।
যে দেখেছে সেই বলেছে
তার তুলনা নাই,-ঐ

সে রূপসীর হাসিতে যেন
মুক্তা ঝরে পড়ে,
তারই রূপের ছটায় যেন
আঁধার আলোক করে।

যে রূপসী গোলাপ থেকে
খুশবু ভাসে দূর,-
সেই রূপসীর হাঁটার ছন্দে
হাওয়ায় উঠে সুর।
কোথাও এমন পাবে না যে
তার প্রেমিকা নাই,-ঐ

সেই রূপসী রূপের সাগর
অঙ্গে রূপের ঢেউ,
তার কথা ভিঞ্চি ছাড়া
জানে না তো কেউ।

সেই রূপসী মোনালিসা
রূপের যাদু আছে,
যারে দেখলে মরণ ভুলে
সবাই আবার বাঁচে।
সে রূপসীর মুখের হাসি
সবাই দেখে যাই। ঐ

প্রাণ সখি আয়রে আয়

প্রাণ সখি আয়রে আয়
দেখ চাইয়া দেখ পরান বন্ধু
রাস্তা দিয়া যায় ॥

পরান বন্ধু ভোলাভালা
দেখতে লাগে ভীষণ ভালা ॥
রাস্তা দিয়া যাবার কালে
বাশঁরি বাজায়
আমার মনঃ উতলায়, (ঐ)

বন্ধু আমার চিকন কালা
দিবানিশি দেয়রে জ্বালা ॥
দেখ! বাঁশির সুরে পাগল করে
মনঃ নিয়া যায়
সখি প্রাণঃ নিয়া যায়, (ঐ)

কালার বাশিঁ যাদু জানে
আমায় শুধু কাছে টানে ॥
কোন কাজে মন বসেনা
কী করি উপায়?
আমি পড়ছি ভীষণ দায়। (ঐ)

 

প্রেমের ছোঁয়া

প্রেমের ছোঁয়া লাগল মনে
করি কী উপায়?
সেই রূপসির কাছে শুধুই
পরাণ ছুটে যায়(রে) ॥

শুইতে গেলে স্বপ্নে আসে
সেই রূপসির মুখ,
কুসুম কুসুম উমে জাগে
আমার শীতল বুক(রে) ॥
সুখের বশে আমার এ মন
খুশিতে দোল খায়, (ঐ)

মনের বনে ফাগুন এসে
খুশির জোয়ার তুলে,
রঙে রঙে রাঙাই এ মন
সেই ফাগুনের ফুলে(রে) ॥
মনের কথা কইতে এ মন
তাকেই পেতে চায়। (ঐ)

পুবালি হাওয়া

ও পুবালি হাওয়া! পূবালি হাওয়ারে!
আরে ও পুবালি হাওয়া,
বন্ধুরে মোর কইও গিয়া
তার বিহনে ভুলছি নাওয়াখাওয়া ॥

বন্ধু আমার পরবাসে
বসে আছি তারই আশে
যৌবন আমার বৃথাই র’বে
তারে যদি না পাই তবে
তোর কাছেতে একটাই শুধু চাওয়া, (ঐ)

বন্ধুর কথা ভাবি যখন
নয়ন জলে ভাসি তখন
এখন আমি জিতে মরা
বন্ধু যেন আসে ত্বরা
আমি সবই পাব হলে তারে পাওয়া। (ঐ)

ভালোবাসার মনের গোলাপ

আমার ভালোবাসার গোলাপ ছিল
শুধুই তোমার জন্য,
কাঁটার ভয়ে তোললে না ফুল
ভাবলে তারে বন্য।

কাঁটার আঘাত সয় না বলে
রাখলে তারে পর,
তার বদলে নকল ফুলে
সাজিয়ে নিলে ঘর।
যে ফুলের নেই তো কান্না
ঝরে পড়ার ভয়,
বাসি হলেও ভাবে, সে তো-
ছুঁড়ে ফেলার নয়।
যে ফুলের নেই অনুযোগ
নেই সুরভি তারণ্য,-ঐ

তাই ঝরা ফুলের কান্না যে কী
কনাটুকু পাওনি গো টের,
ফুল ফোটার সুখানন্দ
মেকি ফুলে বুঝনি ঢের।
আমার ফুলের পাঁপড়িগুলো
অনাদরে ঝরে হায়!,
ঝরে গেলে সে ফুল কি আর
কভু ফিরে পাওয়া যায়?
হতে পারতো তোমার ছোঁয়ায়
আমার সে ফুল ধন্য। ঐ

আমার মনের গুলবাগিচায়

আমার মনের গুলবাগিচায় 
আছে যতো গুল,
সবার চেয়ে প্রিয় ও গো
তোমার নামের ফুল।।

ফুলটি যখন কলি ছিল
ছিল তখন সবুজ,
কলি থেকে ফুল হলো যেই
রইলো না আর সবুজ।
পাঁপড়ি মেলে ফুলটি সুখে
হাওয়ায় দোদুল খেলে,
মনে হয় যেন উড়বে এবার
ইচ্ছেডানা মেলে।
সে ফুলটিরে ভালোবেসে
করিনি তো ভুল। ঐ

আবির মেখে ফুলটি যেন
হেসে ওঠে ওই,
মল্লিকা মালতি হেনা
হয়েছে তার সই।
পূর্ণতায় সে হলো যে লাল
দেখে আমি ধন্য,
খুশবু পেয়ে হলাম পাগল
আমি যে তার জন্য।
রূপে রূপে ফুলটি যে আজ
অনন্য অতুল। ঐ

গীতিকার: মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, নিউ ইয়র্ক প্রবাসী।
(আজীজ আহমেদ, আব্দুল আজিজ)
নিউ ইয়র্ক, ইউএসএ।

 


[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]