মিরপুরের ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৩ দিন আগে

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বর্ণাঢ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষকমণ্ডলী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন। প্রায় এক হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী এই আয়োজনে যোগ দিয়ে নিজেদের স্মৃতি রোমন্থন করেন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আবেগঘন পুনর্মিলনের মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক সোহরাব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের চারজন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, মোহাম্মদ এমদাদুল হক, এ. বি. এম. শহীদুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া দিনব্যাপী এই আয়োজন সাজানো হয় নানা আকর্ষণীয় কার্যক্রম দিয়ে। প্রয়াত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্মরণে দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অতিথি এবং শিক্ষকমণ্ডলীকে সম্মাননা প্রদানের পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলজীবনের স্মৃতি স্মরণ করে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক কর্মকাণ্ড ও অবদান তুলে ধরতে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রবাসী এবং দূরে অবস্থানরত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ভিডিও বার্তা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে একটি নতুন মাত্রা যোগ করে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নাটক মঞ্চায়ন, এবং র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়। দিনব্যাপী এই উৎসবে আমন্ত্রিত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন, যা দর্শকদের মনোমুগ্ধ করে। এ আয়োজনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই গ্রুপের প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এটি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

আড্ডা, স্মৃতিচারণা এবং প্রীতিভোজের মধ্য দিয়ে দিনটি পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত মিলনমেলায়। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অংশগ্রহণ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলীর অবদান এই আয়োজনকে স্মরণীয় করে তোলে।