মাহমুদুর রহমানকে ৭ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলল ইসকন

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ‘র’ এজেন্ট ও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করায় এবং নিষিদ্ধের আহ্বান জানানোয় ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে ইসকন বাংলাদেশ।

সাত দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনানুগ পদক্ষেপসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ইসকন সম্পর্কে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ও সংবাদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা শুনেছি, ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন এবং ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ধরনের বক্তব্যের জন্য তাকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে আমাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে। ইসকন একটি শান্তিপূর্ণ ধর্মপ্রচার সংগঠন; কোনো দেশের গোয়েন্দা সংস্থা নয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা সম্প্রতি মাহমুদুর রহমানের পক্ষ থেকে ইসকনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও অবমাননাকর বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি। তার এই বক্তব্য শুধুমাত্র আমাদের সংগঠনকেই আঘাত করেনি, বরং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহনশীলতার পরিবেশেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

তিনি আরও বলেন, মাহমুদুর রহমান যদি দ্রুত তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চান, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবো এবং আইনি পদক্ষেপও নেবো। ইসকন বাংলাদেশের কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ও মিথ্যা প্রচারণা অত্যন্ত দুঃখজনক।

বক্তারা উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু মহল ইসকন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, সেটির সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তাদের কোনো নিজস্ব পতাকা নেই। ইসকন বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ, আইনসম্মত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে এবং ধর্মীয় সহনশীলতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

ইসকন বাংলাদেশের নেতারা সরকারের কাছে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের আট দফা দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন তারা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ জানান।

তারা আরও বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, প্রতিমা, ঘরবাড়ি, দোকানপাটের ক্ষতি, পুলিশ-শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং ধর্ষণের মতো অপরাধের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি। এসব বন্ধে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানাই। একই সঙ্গে যারা বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালিয়ে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।