মারা গেলেন রেসলার রে মিস্টেরিও সিনিয়র

:: আনন্দধারা প্রতিবেদক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৭ ঘন্টা আগে

চলে গেলেন জনপ্রিয় রেসলার রে মিস্টেরিও সিনিয়র। গত ২০ ডিসেম্বর পরিবার থেকে জনপ্রিয় এই রেসলারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। মেক্সিকোর এই রেসলার চলে যাওয়ায় রেসলিংয়ে লুচা লিব্রা সম্প্রদায় একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে।

মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল লোপেজ় দিয়াজ়, যার রিং নাম ছিল রে মিস্টেরিও সিনিয়র। ১৯৭৬ সালে তিনি নিজের রেসলিং কেরিয়ার শুরু করেন ও ২০০৯ সালে এই কেরিয়ারে ইতি টানেন। মাস্ক পরে রেসলিংয়ের জন্য জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি।

২০০৯ সালে রেসলিং থেকে অবসর নিলেও ২০২৩ সালে শেষবার তিনি রিংয়ে নামেন এবং মুখোমুখি হন হেরেজের। সেটা ছিল গ্লোবাল লুচা লিব্রা ইভেন্টের অংশ।

এদিকে রে মিস্টেরিও সিনিয়রের প্রয়াণে লুচা লিব্রা এএএ সংস্থার পক্ষ থেকে পোস্ট করে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। তিনি পেশাদার রেসলিং ইন্ডাস্ট্রিতে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ ফেলেছেন। তার কীর্তিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তার ভাইপো রে মিস্টেরিও। প্রথমে রে মিস্টেরিও জুনিয়র নাম নিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু হলেও পরে নাম থেকে জুনিয়র লেখাটা ফেলে রে মিস্টেরিও নামে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে রে মিস্টেরিও সিনিয়র ও জুনিয়র মিলিয়ে ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ই ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেন। যা রেসলিংয়ের রিংয়ে একটা স্মরণীয় মুহূর্তে।

যদিও রে মিস্টেরিও সিনিয়রের পর জুনিয়রকে বাদ দিয়ে তার সন্তান এল হিজো ডে রে মিস্টেরিও ও দ্য লুচাডোর এ ড্যান্ডি সাফল্য পেয়েছেন। রে মিস্টেরিও সিনিয়রের প্রয়াণে রেসলিং কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে যা লুচা লিব্রার ইতিহাসে বড় একটি ধাক্কা হিসেবে ধরা হচ্ছে।

লুচা লিব্রা কী?
এটি হচ্ছে মেক্সিকোর একটি পেশাদার কুস্তির স্টাইল। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা মুখোশ পরে খেলতে নামেন এবং এখানে অ্যাক্রোব্যাটিক টেকনিক ব্যবহার করা হয়। এখানে অংশগ্রহণকারীরা যেই মুখোশ ব্যবহার করেন সেটাও একই ধরনের হয়। এখানে মাথা ঢাকা থাকে। শুধু চোখ, মুখ ও নাক খোলা থাকে।

না ফেরার দেশে রেসলার রে মিস্টেরিও সিনিয়র

মূলত রেসলিংয়ের সঙ্গে লুচা লিব্রার প্রধান তফাৎ হচ্ছে, লুচা লিব্রা টেকনিকে একজনকে অনেক বেশি হাওয়ায় পারফর্ম করতে হয়, এখানে পাওয়ারের থেকেও বেশি কাজে লাগে টেকনিক। অন্যদিকে রেসলিংয়ে হয় উল্টোটা। লুচা লিব্রাতে যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের উচ্চতা যেহেতু কম হয় তাই তারা পাওয়ারের থেকেও টেকনিকের দিকে বেশি নজর দেন।

(সূত্র: দ্য মিরর, ফক্স ১৩)