মাছ ধরতে গিয়ে জেলের পায়ুপথ দিয়ে পেটে প্রবেশ করে ২৫ ইঞ্চি লম্বা কুঁচিয়া। অবশেষে অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছে সেটি। এ সময় জীবিত ছিল কুঁচিয়াটি।
নজিরবিহীন এ ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিতিঙ্গগা চা বাগান সংলগ্ন হাওরে।
রোববার (২৪ মার্চ) রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে বের করা হয় জ্যান্ত কুঁচিয়াটি।
সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে কুঁচিয়াটি বের করা হয়।
অস্ত্রোপচারে অংশ নেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্টার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর।
ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি বাসিন্দা ধন মুন্ডার ছেলে সম্ররা মুন্ডা (৫৫) একজন কার্ডধারী জেলে।
গত ২৩ মার্চ সম্ররা মুন্ডা স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গেলে কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া মাছের একটি পানিতে পড়ে যায় এবং আরেকটি কাদায় পড়ে। তখন তিনি অনুভব করেন তার পায়ু পথে কি যেন ঢুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব দেননি। পরে বাড়িতে আসার পর সম্ররা মুন্ডার পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়।
২৪ মার্চ তিনি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে অস্ত্রোপচার করা হয়, চলে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। পরে ২৫ ইঞ্চির কুঁচিয়াটি পেট থেকে বের করা হয়।
এ বিষয়ে ওসমানী মেডিকেলের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে জ্যান্ত ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়াটি বের করা হয়েছে। এটা একটা অপ্রত্যাশিত ও কঠিন অপারেশন ছিল, যা আমাদের টিম ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। রোগী পুরোপুরি সুস্থ আছেন। বর্তমানে সম্ররা মুন্ডা ওসমানী মেডিকেলের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
সিলেট/ অমিতা/২৭ মার্চ ২০২৪