মন্ত্রী স্বীকার করলেন, ‌‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে’

:: পা.রি. ডেস্ক ::
প্রকাশ: ১ বছর আগে
র‌্যাবের হেফাজতে মৃত সুলতানা জেসমিন। ফাইল ছবি

নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে মৃত সুলতানা জেসমিনের ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে যখন ওই নারীকে নওগাঁ থেকে আটক করা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো মামলা হয়নি। এর একদিন পর মামলা করা হয়। সুতরাং এক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার বক্তব্য হলো, ওই নারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধরা পড়েননি।

দু-একটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানেই এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে, সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। ২২ মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে র‌্যাব। আটক অবস্থায় র‌্যাব সুলতানা জেসমিনকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে র‌্যাব পাহারায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত ২৪ মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অন্যদিকে ২৩ মার্চ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. এনামুল হক জেসমিন সুলতানার বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন।

প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেফতারের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে মামলাগুলো করা হয়েছে বা করা হচ্ছে, সেগুলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি স্বীকার করি, আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক। জনগণের কাছে সত্য প্রকাশ করলে সরকার কখনো বাধা দেবে না।’

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে শামসকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) লোকজন ধরে নিয়ে যায়।

একই দিন দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।

বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় আসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে।

তার মৃত্যুতে প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা।


আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।

গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।


Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net