পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
আজ ২২ জানুয়ারী ২০২৩ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, উপ-মহাদেশের মেহনতি মানুষের কণ্ঠস্বর, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
দীর্ঘদিন ভারত সরকারের অন্তরিন থাকার পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলার কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের নয়নমণি মওলানা ভাসানী এ দিন স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ১২ দিন পর ঢাকায় পত্রপত্রিকায় মওলানা ভাসানীকে নিয়ে নানা ধরনের লেখালেখি শুরু হলে ভারত সরকার মওলানা ভাসানীকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেন। তখন তার স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ছিলো না। দিল্লী থেকে দেশে ফেরার আগে তিনি আসামে ২১ জানুয়ারি ১৯৭২ আসামের ফরিদগঞ্জে তিনি এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দীর্ঘ ইতিহাস, পাকিস্তানের বর্বরতা ও ২৩ বছরের শোষণের একটি চিত্র তুলে ধরেছিলেন। পরদিন ২২ জানুয়ারি মেঘালয় থেকে তিনি ভারত সরকারের একটি জীপে বাংলাদেশের হালুয়াঘাটে পৌঁছেন। তার সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক ছিলেন। হালুয়াঘাটে মহান নেতা মওলানা ভাসানীকে মামুলি অভ্যর্থনা জানিয়েছিল ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক খসরুজ্জামান চৌধুরী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও তার ভক্তমন্ডলী।
১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ অর্থাৎ আজকের আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের প্রধান নেতা, ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্যে ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারন, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্থপতি মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার ৫১ বছরের সরকারগুলো প্রাপ্য মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র প্রত্যেক শাখা মরহুমের প্রতিকৃতিতে পষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
ভাসানীর ‘খামোশ’ উচ্চারন বড়ই প্রয়োজন : বাংলাদেশ ন্যাপ
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক বিবৃতিতে মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতহাস মওলানা ভাসানীকে ছাড়া রচনা সম্ভব নয়। যারা স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে ইতিহাস রচনা করতে চান তারাই একদিন ইতহাস থেকে হারিয়ে যাবেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, শাসকগোষ্টির দেশবিরোধী-গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আজ মওলানা ভাসানীর ‘খামোশ’ উচ্চারন বড়ই প্রয়োজন।