তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার গুরুত্ব এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি তাই মিডিয়া এবং তথ্য স্বাক্ষরতায় দক্ষতার বিকল্প নেই, বিশেষ করে মিডিয়া র্কমীদের জন্য। এই বিষয় নিয়েই রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিক, এক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকারকর্মীদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)।
বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং বাংলাদেশও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। বিশেষ করে অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্যের উৎস ও মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে এ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা নানা ধরনের নেতিবাচক ও স্পর্শকাতর ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রচার, গুজব, ফেক বা ভুঁয়া তথ্যের ব্যবহার, উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার ইত্যাদি। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারিসহ মানবাধিকারকর্মীদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, গুজব, ভুয়া তথ্য বুঝা ও শনাক্তকরণে দক্ষ ও সচেতন করে তুলতে এই কর্মশালার আয়োজন।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় আর্টিকেল নাইনটিন বাস্তবায়তি ‘‘এমপাওয়ারিং জার্নালিস্ট, অ্যাকটিভিস্ট এন্ড এইচআরডি টু আইডেন্টিফাই ফ্যাক্ট ফ্রম ফেক’’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অপতথ্য/ভুল তথ্য প্রতিহত করা এবং মিডিয়া লিটারেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষ করে তোলাই এই কর্মশালার উদ্দেশ্য।
দিনভর এই কর্মশালায় অংশ নেন বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক এক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকারকর্মীসহ ২৫ জন।
আর্টিকেল নাইনটিন একটি আর্ন্তজাতকি মানবাধিকার সংস্থা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। এটি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করণের ক্ষেত্রে কাজ করে। সংস্থাটি ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করে আসছে।
[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]