সমালোচনার মুখে অবশেষে ভুলে ভরা দুটি পাঠ্যবই প্রত্যাহার করেছে সরকার। একই সঙ্গে আরও তিনটি বই সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নতুন দুই পাঠ্যবই প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। একই সঙ্গে তিনটি বই সংশোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বই দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার করা বইগুলো হলো—ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ এবং সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ।
যে তিনটি পাঠ্যবই সংশোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলনী পাঠ, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলনী পাঠ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের অনুসন্ধানী পাঠ।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিটিবি জানিয়েছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ পাঠ্যবই দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করা হলো। এ শ্রেণি দুটির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলনী পাঠ ও ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ পাঠ্যপুস্তকের কিছু অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। পাঠ্যপুস্তকগুলোর অন্যান্য সব অধ্যায়ের পাঠদান অব্যাহত থাকবে। সংশোধনীগুলো শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানো হবে।
এদিকে, আজ শুক্রবার চাঁদপুরে দুপুরে হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ইশানবালা কাশেম উলমুল মাদরাসা মাঠে এক উঠান বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন দুটি পাঠ্যবই পড়ানো আপাতত বন্ধ থাকবে। আগামী বছর এ দুটি বই নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘ধর্ম একটি পবিত্র জিনিস। এটি নিয়ে কি কোনো মিথ্যা কথা চলে? তাহলে যারা মিথ্যাচার করে, অপপ্রচার করে, তাদের কথা সঠিক না। বইয়ের মধ্যে কি আছে নিজেরা পড়ে দেখবেন। তারা কী বলে সেটি বিশ্বাস করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন বইতে এটি না থাকলে ভালো হতো। আবার কোনোটি বেশি লেখা হয়েছে। আমরা বলছি আগামী বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে একটি করে দুটি বই নতুন তৈরি করে দেবো। এই দুই শ্রেণির বইয়ে যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলো পড়া বন্ধ থাকবে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এসব বইতে ইসলাম বিরোধী কিছুই নেই। তারপরও আমরা মানুষের কথা শুনি, যদি কেউ মনে কষ্ট পায় সেটাকেও গুরুত্ব দেই এবং সম্মান করি। ’