দেশের একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানলাম, ৮ হাজারের অধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরে মুজিনগর দিবস উপলক্ষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান। প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সনদ নেওয়ার অভিযোগে ৮ হাজারের অধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। শহিদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রেতাত্মা এখনও আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই প্রেতাত্মারা তাদের অতীত অপকর্ম ঘোচাতে স্বাধীনতার পক্ষের লোক হিসেবে নিজেদের পরিচিত করার চেষ্টা করছে। তাই এসব প্রেতাত্মার অনেকে প্রতারণার মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ৮ হাজারের অধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করেছে। তাদের ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বাতিল করেছে কি না জানি না। যদি হয়ে থাকে তাহলে খুবই ভালো। না হলে এখনি বন্ধ করে দেওয়া দরকার। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন। সেই হিসাবে এই ভুয়া ৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রতি মাসে সরকারি কোষাগার থেকে ১৬ কোটি টাকা ভাতা গ্রহণ করেন/করেছেন। মজার বিষয় দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন (বিবিএস-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী), সেখানে এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি মাসে ভাতা গ্রহণ করেন ১৬ কোটি টাকা। কোন সাল বা কত মাস ধরে এই ভুয়ার দল ভাতা গ্রহণ করছেন তার ঠিক তথ্য জানা থাকলে এ পর্যন্ত সর্বমোট টাকার হিসাব উপস্থাপন করা যেত। আপনি এক বার ভাবুন, প্রতি মাসে ১৬ কোটি টাকা ভাতা গ্রহণ করে থাকলে বছরে কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে এই ভুয়ার দল গ্রহণ করেছে। আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার বদৌলতে জানতে পারছি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেও এখনো অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাননি। এদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারি ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নয় শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে সনদের জন্য দিনের পর দিন, বছরের পর বছর মন্ত্রণালয়ে ধরণা দিচ্ছেন। তবুও তাঁদের কপালে জুটছে না বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ। তেমনি একজন লক্ষ্মীপুর জেলার বায়পুর উপজেলার রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান আবুল কাশেম ওরফে মিস্টার।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫৩ বছর। এমন একটি খবর ফেসবুকের বদৌলতে সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু নামে জনৈক ব্যক্তির একটি পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। ৫৩ বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদ (৭০) কাঙ্খিত সনদ পাওয়ার ৬ মাস পর মৃত্যুবরণ করেন। পরিবারের কাছে হয়তো এটুকুই সান্ত্বনা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদ ৫৩ বছর রাষ্ট্রীয় অনেক সম্মাননা থেকে বঞ্চিত হলেও মৃত্যুর পর রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার পেয়েছেন। আমার বড় মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী জিন্নাহ এবং তাঁর চাচাতো দুই ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমান ( চেয়ারম্যান, পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, নাগরপুর, টাংগাইল) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজমত। বঙ্গবন্ধুর ডাকে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে যান সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে। সেখানে এক মাস প্রশিক্ষণ শেষে এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্ত্র হাতে পাক শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে করে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন করে বীরের বেশে ঘরে ফিরে আসেন। বড় মামা মো. আলী জিন্নাহ ও মো. ছিদ্দিক মামা মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেলেও পাননি আজত মামা। শুধুমাত্র জেনারেল ওসমান গণির স্বাক্ষরিত সনদ ও ভুলক্রমে প্রথম তালিকায় নাম না থাকায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি আজমত মামার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেননি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বহু চেষ্টা তদবির করেও ব্যর্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। প্রকৃত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও মৃত্যুর পর শুধুমাত্র সনদ না পাওয়ায় তিনি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনারটুকুও পাননি।
আমার প্রশ্ন, সনদ বাতিলকৃত ৮ হাজাররেও অধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম কীভাবে তালিকাভুক্ত হলো? মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি কোন প্রমাণের ভিত্তিতে তালিকা স্বাক্ষর করে তাদের নাম মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন? জনগণের করের টাকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা কীভাবে ভাতা পেল? এ দায় কার? যারা এই ভুয়াদের নাম তালিকাভুক্ত করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্তমূলক স্থাপন করতে হবে। নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে বর্তমান তালিকা যাচাই-বাছাই করা হলে হয়তো আরও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত হবে এবং প্রকৃত আরও বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা এ যাবৎ যত ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করেছে তা ফেরত নিয়ে তাদেরকেও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে প্রতারণা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ এ ধরণে অপরাধ করার সাহস পাবে না।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১ লক্ষ চুরানব্বই হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা/উত্তরাধিকারীকে মাসিক জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা সন্মানী ভাতা প্রদান কার্যক্রম চলমান। প্রতিমাসে জনগণের করের টাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতি চায় প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত হোক। জাতি তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মও করবে। পরিশেষে বলতে চাই, একশো অপরাধী ছাড়া পাক, কোনো নিরাপরাধ যেন শাস্তি না পায়। তদ্রুপ যদিও একশো বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়ে যায়, তবুও যেন একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত না হয়।
এপ্রিল মাস থেকে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। তীব্র তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সবচাইতে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বয়স্করা। প্রতিদিন নানা বয়সের মানুষ হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। আমার চার যুগের অতিবাহিত জীবনে একাধারে প্রায় ৩০ দিনের মতো চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ কখনো দেখনি। এই অবস্থা কতদিন চলবে একমাত্র আল্লাহ্ ভালো জানেন। তীব্র তাপপ্রবাহ তো হঠাৎ করে হয়নি। নিশ্চয়ই এই অবস্থার পিছনে উপযুক্ত কারণ রয়েছে। চলমান তাপপ্রবাহের বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদদের আলোচনা ও লেখা পড়ে অনেক তথ্য জানলাম। প্রায় সবার আলোচনা ও লেখা পড়ে একটা বিষয় নিশ্চিত হলাম এই অবস্থার জন্য প্রধান কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন অর্থাৎ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া।
ছোটোবেলায় বইয়ে পড়েছি, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমার সোনার বাংলাদেশ। বইয়ের লেখার সাথে বাস্তবে দুই নয়নে তা দেখতেও পেয়েছি। অনুভব করেছি, বৃক্ষের শীতল ছায়া। শ্যামলে ভরা প্রকৃতির অপরূপ আমাদের এই দেশ থেকে দিন দিন সবুজের সমারোহ হারিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দশক ধরে বন কেটে উজাড় করা হচ্ছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ বৃক্ষ কাটা হয় সে তুলনায় বৃক্ষ লাগানো হয় কম। ফলে বৃক্ষের সংখ্যা কমে যাচ্ছ। পরিবেশবিদদের মতে, একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। অথচ আমাদের দেশে সে পরমিাণ বনভূমি নেই। বন অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২০২৩ হিসাব মতে দেশে বনভূমির পরিমাণ ১৮.৮০ শতাংশ। অথচ মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে বৃক্ষের তুলনা অপরিসীম। কারণ বৃক্ষ আমাদের অক্সিজেন দিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে।
একটা সময় বাংলাদেশ খাল-বিল, নদী-নালায় ভরপুর ছিল। প্রতিটা গ্রামে গোসল করার পুকুর ছিল, মাছের আবাসস্থল খাল ছিল, শাপলা ভরা বিল ছিল। মানুষ নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করছে। এভাবে ভরাট হয়ে খাল-বিল, পুকুর দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং পানি হ্রাস পাচ্ছে। ফলে পরিবেশ দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে। এছাড়া, দেশের বড় বড় শহরগুলোতে অপরিকল্পিত নগরায়ন, যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া বায়ু দূষণ বৃদ্ধি করছে।
বন উজাড়ের ফলে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর ভরাট হওয়ায় পানি হ্রাস পাচ্ছে। শিল্প-কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য নদী-নালার পানি বিষাক্ত করছে। শহরগুলোতে অপরিকল্পিত নগরায়ন, যানবাহনের ধোঁয়া বায়ু দূষণ বৃদ্ধি করছে। বন উজাড়, খাল-বিল, পুকুর ভরাট, যানবাহনের ধোঁয়া, কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
এসব কিছু হচ্ছে আমাদের অসচেতনতা ও কতিপয় দুষ্টু মানুষের কারণে। মানব সৃষ্ট পরিবেশ দূষণে দেশে খরা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও তীব্র তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোবাবিলায় মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি জরুরি বায়ু দূষণে জীবাশ্ম জ্বালানির (কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস) ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি (পানি বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস, বাতাসের গতি) ব্যবহার বৃদ্ধি করা। পানি সংকট ও অপচয় রোধে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া খাল-বিল, নদী-নালা দখল মুক্ত করে পানি সম্পদের সঠিক ব্যবহার। বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি রোধে বৃক্ষরোপণ বৃদ্ধি এবং বন উজাড় রোধ করা।
বৃক্ষ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গাছপালার কারণে পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় থাকে। গাছপালা আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে। যেসব অঞ্চলে গাছপালা বেশি সেসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি এবং প্রকৃতিও থাকে সজীব। গাছপালা নদীর ভাঙন, বৃষ্টিপাত ও পানি-ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই গাছ লাগানোর মাধ্যমে আমাদের জীবন রক্ষায় উদ্যোগী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের দেশে সরকারিভাবে বর্ষা মাসে বৃক্ষরোপণ অভিযান চলে। দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে আসুন আমরা সবাই বর্ষা মাসে কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণ করি।
আমরা সবাই মুখেই বলি ‘গাছ লাগাও পরিবেশ বাঁচাও’। আমরা কি প্রত্যেকে গাছ লাগাই বা এ পর্যন্ত একটি গাছও কি লাগিয়েছি? আমার মনে হয়, গাছ না লাগানো মানুষের সংখ্যাটাই বেশি। মনে হওয়াটা ভুলও হতে পারে। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। মোট জনসংখ্যার সবার কি বৃক্ষের চারা ক্রয় ও পরিচর্যা করার মতো আর্থিক সক্ষমতা আছে? বর্তমান নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাকাল জনজীবন। সেখানে বৃক্ষের চারা ক্রয় ও পরিচর্যা করা দরিদ্র জনসাধারণের পক্ষে কতটা সম্ভব? কেবলমাত্র সরকারের পক্ষে এই অসম্ভবকে সম্ভব করা। আসছে বৃক্ষরোপণ অভিযানে নির্দিষ্ট একটি দিনে সবাই কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণ করি। যাদের বৃক্ষের চারা ক্রয় করার ক্ষমতা নাই তাদের সরকার বিনামূল্যে বৃক্ষ চারা দিবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর দিনক্ষণ ঠিক করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রত্যেকে সুবিধা মতো জায়গায় বৃক্ষরোপণ করবে। এটি একদিকে যেমন হবে উৎসবের তেমনি হবে বৃক্ষরোপণে বিশ্ব রেকর্ড। ভবিষ্যতে রোপণকৃত এই বৃক্ষ চারাগুলো বড় হয়ে আমাদের তীব্র এই তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা করবে। আমরা পাব, সবুজ- শ্যামল সুন্দর নয়নাভিরাম সোনার বাংলাদেশ।
লেখক: মো. নবী আলম; লেখক, সাংবাদিক ও সমাজ কর্মী।
[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]