ভারতকে তাদেরই মাটিতে উড়িয়ে দিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ ঘরে তুললো অস্ট্রেলিয়া। আজ রোববার আহমেদাবাদে ব্যাটে-বলে অস্ট্রেলিয়ার কাছে কোনো পাত্তাই পায়নি ভারত। প্রথমে বল হাতে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কের আগুনে বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে ট্রাভিস হেডের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে হারা ভারত বড্ড হাঁসফাঁস করে স্কোরবোর্ডে ২৪০ রানের সংগ্রহ তোলে।
সেই রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়লেও মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে আনেন ট্রাভিস হেড। তুলে নেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। তার তাণ্ডবেই ৭ ওভার হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অসিরা।
ভারতের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় নেমে জসপ্রীত বুমরাহর প্রথম ওভারেই ১৫ রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে পরের ওভারে বোলিংয়ে এসেই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শামি। ওয়ার্নারকে ফিরিয়েই এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (২৪) বনে যান শামি।
তিনে নামা মিচেল মার্শ বড় শট খেলে শুরু করলেও বুমরাহ তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি। ১৫ রানেই তাকে উইকেটের পেছনে থাকা লোকেশ রাহুলের ক্যাচ বানান বুমরাহ। এরপর পাওয়ারপ্লেতেই অভিজ্ঞ স্টিভ স্মিথকে তুলে নেন এই পেসার। ৪ রান করা স্মিথ পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে।
পাওয়ারপ্লের ৬.৬ ওভারেই অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেট তুলে নিয়ে প্রবলভাবে ম্যাচে ফেরে ভারত। স্বাগতিক সমর্থকরাও স্বপ্ন দেখতে থাকে বিশ্বকাপ জয়ের। কিন্তু ওই ৩ উইকেটের পর হেড আর লাবুশেন হতাশা বাদে আর কিছুই উপহার দেয়নি ভারতীয় শিবিরকে।
এই জুটির শুরুটা ছিল বেশ দেখেশুনে। পরে উইকেটে থিতু হতে হেড বাড়ান রান তোলার গতি। লাবুশেন অপরপ্রান্তে ধৈর্য ধরে খেলতে থাকেন জাদেজা-কুলদীপদের। হেড সপ্তম ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি তুলে নেন ৯৫ বলে। পরে ফিফটি তুলে নেন লাবুশেনও। ৯৯ বলে মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
যদিও শেষ পর্যন্ত এ দুজন অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে পারেননি। দলের জয়ের জন্য যখন বাকি আর ২ রান, তখন বড় শট খেলতে গিয়ে মোহাম্মদ সিরাজকে উইকেট দেন হেড। ফেরেন ১৩৭ রান করে।