গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের একই দাবি, একই কথা নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। গত এক বছর ধরে সিরিজ প্রোগ্রাম করছে বিরোধী দল। কিন্তু কোথাও কোন ভায়োলেন্স করেনি।
বুধবার ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পশ্চিমরা রাষ্ট্রগুলোতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আগামী নির্বাচন এবং যেভাবে বিরোধী দলের উপর দমন-নিপীড়ন হচ্ছে তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সবাই তাদের কনসার্ন রেইস করছে। আজকের আলোচনায় চলমান ইস্যুগুলো এসেছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মেসেজগুলো পরিষ্কার করেছি যে- আমরা একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম এবং সমাবেশস্থলে বসে পড়ার কোন প্ল্যান ছিল না আমাদের। কিন্তু সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের এই শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনে নস্যাৎ করেছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি থেকে শুরু করে টপ লিডাররা সব জেলে। তাহলে কাদের সঙ্গে ডায়লগ হবে।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একটা মেরুদণ্ডহীন কমিশন। এই কমিশন আমাদের মতো একটি পার্টিকে নিবন্ধন দেয়নি। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সব দূতাবাস ও এজেন্সীগুলো আমাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ভবিষ্যত রাজনীতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করে। অথচ নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে নিবন্ধন দেয়নি। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে- নির্বাচন কমিশন কতটা দালাল। শুধুমাত্র সরকারের সঙ্গে আমরা নিগোসিয়েশন না করার কারণে আমাদের নিবন্ধন দেয়নি। সরকার যেহেতু ছোট ছোট দলগুলোতে নির্বাচনে নেওয়ার চেষ্টা করছে, সেখানে আমাদেরকেও সেখানে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনে না গেলে আমাদের জেলে যেতে হতে পারে-এসব বিষয়গুলো অবহিত করেছি। এবং পশ্চিমরা বন্ধুদের সহযোগিতা চেয়েছি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য।