পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের (জেলা জজ) সঙ্গে এজলাস চলাকালে করা আচরণের নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরাম।
শনিবার সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, আদালতে কোনো মামলা চলাকালীন সময়ে কেউ কখনোই হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। মামলা আদালতে চলছে, আদালত স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিবে। এখানে কারো হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারকের সঙ্গে যে শিষ্টাচার বহির্ভূত ও অশালীন আচরণ করা হয়েছে, তা অনভিপ্রেত, ন্যাক্কারজনক ও অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা ও স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধান বিচারপতির কাছে স্বাধীন ও সাহসী বিচারিক ভূমিকা আশা করছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে এজলাস চলাকালে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী বিচারককে গালিগালাজ করছেন। তবে তানভীর ভূঁইয়ার দাবি, তিনি বিচারককে গালি দেননি। ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়েছে।
এদিকে, আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারীদের মারধর, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।