বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর হিড়িক, কেটে যাচ্ছে অনিশ্চয়তা!

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। অনেক প্রবাসী দেশে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন হুমড়ি খেয়ে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করেতে ইউরোপ প্রবাসী ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

ইউরোপের বিজনেস স্টেশন বলা হয় ফ্রান্সের বাংলাদেশি অধ্যুষিত গার্দু নর্দকে। ফ্রান্সের এই অঞ্চলে প্রতিদিন প্রায় ৭ লাখ মানুষের আনাগোনা হয়। এখানে বসবাসরত অধিকাংশ বাঙালির রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয় এই কেন্দ্রে। এখানে যেমন আছেন খেটেখাওয়া বাঙালি, ঠিক তেমনি আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী। হাজার মাইল দূরে হলেও দেশের অর্থনীতির সঙ্গে আছে যাদের নিবিড় সম্পর্ক।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক শিল্পের পর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে প্রবাসী আয়। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে সম্প্রতি দেশে টাকা পাঠাতে বেকে বসেন প্রবাসীরা। অন্ধকার দূরে ঠেলে নতুন বাংলাদেশের দায়িত্বে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই নোবেলম্যানেই এখন ভরসা করছেন প্রবাসীরা।

প্যারিস প্রবাসীরা বলছেন, গত কয়েকদিন আগে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম দেশে রেমিট্যান্স পাঠাব না। তবে বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমরা অবদান রাখতে চাই।

প্যারিসের ব্যবসায়ী কাজী এনায়েত উল্লাহ জানান, বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। যার বড় অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে। ফ্রান্সেও আছে অপার সম্ভাবনা। উপযুক্ত পরিকল্পনায় এই সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান ব্যবসায়ীদের।