গণ অভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেইমানি করলে কাউকেই ছাড়া দেওয়া হবে না। ড. ইউনূসও যদি হয় তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
শনিবার রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে রাজশাহী বিভাগের শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রাজশাহী বিভাগের ৪৬ শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, শেখ মুজিব হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই আগস্টের শহীদদের লাশ কেন তুলতে হবে? আর কোনো শহীদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। শহীদদের হত্যা মামলাগুলোর বিচারকার্য পর্যন্ত নিয়ে যেতে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে তা তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। তবে সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে ভারতকে খুনি হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে।
সারজিস আলম বলেন, যারা গণহত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল তাদের আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না। পুলিশ হোক, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ পরিচয় যা-ই হোক, এ পরিচয়গুলো মুখ্য নয়। তার বিরুদ্ধে যদি ডকুমেন্ট থাকে তাহলে আমাদের কাছে তার একমাত্র পরিচয় একজন খুনি-হত্যাকারী। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এখনো আওয়ামী লীগের অনেক নেতা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সারজিস বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানের চার মাস পেরিয়েছে। খুনি হাসিনার অন্যতম দোসর নাটোরের খুনি এমপি শিমুল আজও আমাদের সামনে আছে। আজও পাবনার সাঈদ চেয়ারম্যান, এই বাংলাদেশে তার অস্তিত্ব আছে। অথচ এ খুনিরা প্রকাশ্যে আমার ভাইদের পুড়িয়ে মেরেছে, গুলি করে হত্যা করেছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আলমগীর হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির সদস্য মেহেরাব সিফাত, মোবাশির উজ জামান, মাহিন সরকার।