ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর:
শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফতুল্লার দেলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে ফারদিনকে দাফন করা হয় ।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্তের পর নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থেকে ফারদিনের মরদেহ নেওয়া হয় বুয়েট ক্যাম্পাসে। সেখানে ফারদিনের প্রথম দফার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বুয়েট থেকে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ডেমরায়। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুর পৌনে ১টায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে পরশের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-পুলিশ। বুয়েটে জানাযা শেষে বাদ আসর ডেমরার কোণাবাড়ি এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ নেয়া হয় তার পৈত্রিক নিবাস দেলপাড়া এলাকায়।
সকালে ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিন নূর হত্যার শিকার হয়েছেন। তার মাথার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার বুকের ভেতরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি বুয়েট ডিবেটিং ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ৪ নভেম্বর ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ফারদিন। গত ৫ নভেম্বর ফারদিন নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।