গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় আসা আরও ৫ মুসল্লি মারা গেছেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ময়দানে আসা ৫ মুসল্লির মৃত্যু হয়। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে তারা মারা যান। এরআগে মারা গেছেন আরও ৯ জন। এছাড়া, ময়দানে আসার সময় এক পুলিশ সদস্যসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। এতে এখন পর্যন্ত মোট ১৭ জন মারা গেছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
তিনি বলেন, মারা যাওয়া প্রত্যেকেরই জানাজা ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত রাতে মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন, মিরপুর এগারোর বাসিন্দা মোবাশসের আহমেদ, রাজবাড়ি পাংশা থানার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রামের আনোয়ার থানার মো. আলম, নরসিংদী জেলার শাহনেওয়াজ ভুইয়া, সিরাজগঞ্জ জেলার আল মাহমুদ।
গত ৩ দিনে মারা যাওয়া মুসুল্লির হলেন, শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫), নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ও ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য হলেন হাসান উজ্জামান (৩০)।