মৃত্যু থেকে ক’সেকেন্ড দূরে দাঁড়িয়ে আছি জানি না
যখন মৃত্যু থেকে কয়েক মুহূর্ত দূরে থাকবে জীবন; তখন কী অনুভূতি হবে তাও জানি না
শুধু জানি প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব-নিকেশ মিলবে না,
এই সবুজের রাজ্য ছেড়ে কোন দূর মরুমাঠে অঙ্কুরিত হবো তাও জানি না।
তখন হয়তো একটি তুচ্ছ ফুল বা ফলের জন্য মায়া হবে!
নিজ হাতে রোপিত অর্জুন আমলকী হরিতকী বহেরা বৃক্ষের জন্য প্রাণ কাঁদবে।
জানি চাঁদ ডুবলে নতুন সূর্য উঠে
বেনারসি সাঝে বধু রঙিন ঠোঁটে
মেঘের আড়ালে ঐ রংধনু ওঠা,
বিশ্বাস নেই যে কোনো
নিঃশ্বাসের এক ফোটা।
এভাবে নিঃশ্বাস হারিয়ে যাওয়ার পর
মায়া হবে জোনাকির জন্য!
তখন হয়ত তাদের ছুঁয়ে দেখা হবে না,
দূরে সবুজ ধানের শীষে দুলে ওঠা বাতাসে ভর করে
যখন কোন দোয়েল উড়ে যাবে
তাকে দেখে হাত নাড়ানোও হবে না।
কত শত দুর্মর প্রতীক্ষা ভেদ করে
সূর্য তখন তীর্যক রেখায় অস্তায়মান হবে, তখন দেখবো চাঁদোদয়।
তোমার ক্লান্ত মুখে অপরাহ্নের ছায়া
আমার জন্য ক্ষণিকের মায়া…
কালো বসনে তোমার আসা যাওয়া।
কবির অন্য লেখা:
বিলাল মাহিনীর কবিতা নবান্নের ডাক