বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাইয়ের কার্যালয়ে তল্লাশির নিন্দা আর্টিকেল নাইনটিনের

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট
প্রকাশ: ২ years ago

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি সমালোচনামূলক তথ্যচিত্র প্রচারের কয়েক সপ্তাহ পর গত মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে দিল্লি ও মুম্বাইয়ে বিবিসির কার্যালয়ে ভারতের আয়কর বিভাগ চলমান টানা তল্লাশিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আর্টিকেল নাইনটিন-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল ফয়সল বলেন, “সংবাদমাধ্যম যখন জনস্বার্থে সত্য প্রকাশ করে তখন যে কোনো মৌলবাদী বা কর্তৃত্ববাদী সরকারের জন্য সে সত্য মেনে নেয়া কঠিন। তারা চেষ্টা করেও যখন সে সত্যকে ঢাকতে পারে না তখন তারা সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর হয়রানি শুরু করে দেয়। আমরা মনে করি, ভারত সরকার কর্তৃক বিবিসি কার্যালয়ে এরকম হয়রানিমূলক তল্লাশির কারণে ভারতের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ভারতের প্রতিবেশি একনায়তান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর এই ঘটনা থেকে এই শিক্ষা নেওয়া উচিত যে দমন পীড়ন করে সত্যকে ঢাকা দেওয়া যাবে না। এই শিক্ষা যদি তারা নেয় তবে তা দেশের, সরকারের, গণতন্ত্রের, জনগন এবং সকলের জন্য মঙ্গলজনক।”

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র প্রচার করে বিবিসি। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামে তথ্যচিত্রটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই তথ্যচিত্রের মূল বক্তব্য হল গুজরাট দাঙ্গার সঙ্গে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পৃক্ততা এবং কিভাবে ওই দাঙ্গা তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে তার ব্যাখ্যা।

আর্টিকেল নাইনটিন ভারত সরকারকে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযানের নামে হয়রানি ও হামলা বন্ধের আহ্বান জানায়।


আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।

গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।


Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net