রাজশাহী মহানগরীতে বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকে চুরির অভিযোগে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করছে মতিহার থানা পুলিশ। ভাড়াটিয়া সেজে চুরি করাই ছিল তাদের পেশা।
শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন সন্ধ্যায় রাজশাহী মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার দৌলতপুর এলাকার মৃত শুকুর আলীর মেয়ে আলোকা বেগম (৪৩), তার মেয়ে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বর্ধনপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী মীম খাতুন (২২) ও মীমের স্বামী মিজানুর রহমান (২৫)।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রহুল আমিন জানান, চৌদ্দপাই এলাকার সাথী খাতুন (২৯) একজন গৃহিণী। তার স্বামী মাসুদ রানা নান্টু (৩৪) বিদেশে থাকেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে আলোকা ও মীম বাড়ি ভাড়া নেওয়ার জন্য সাথী খাতুনের বাড়িতে যান। আর এ সময় মিজানুর বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।
আলোকা জানান, বাড়ি দেখতে আসা মিজানুর পুলিশে চাকরি করেন বলে মিথ্যা পরিচয় দেন। বাড়ি দেখে তাদের পছন্দ হয়েছে বলে জানান এবং ভালোভাবে দেখার জন্য বাড়িটা কিছুটা পরিষ্কার করে দিতে বলেন। ঘর পরিষ্কার করা হলে সাথীর শরীরে কিছু ময়লা লেগে যায়। তখন অভিযুক্তরা সাথীকে পরিষ্কার হয়ে নিতে বলেন এবং নিজেরা বাসা দেখছেন বলে জানান।
ওই সময় সাথী গোসল করতে গেলে সেই সুযোগে অভিযুক্তরা তার ঘর ঢুকে শোকেসে থাকা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যান। পরে সাথীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় চুরির মামলা হয়।
মামলার চুরি হওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের জন্য মাঠে নামে পুলিশ। পরে শুক্রবার ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হোজা অনন্তপুর এলাকা থেকে মীম ও তার স্বামী মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে। পরে মীমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং চারঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপর অভিযুক্ত (তার মা) আলোকাকে বালুদিয়া এলাকায় তার বোনের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি রহুল আমিন বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে, তারা পেশাদার চোর ও চোর দলের সক্রিয় সদস্য। তারা রাজশাহী মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে চুরি করতেন।