বারিধারায়ও মেয়রের ‘কলা গাছ থেরাপি’

::
প্রকাশ: ২ years ago
ছবি: সংগৃহীত

পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট:
পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে অভিযান শুরু করেছে কা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এতে আলোচনায় এসেছে কলা গাছ দিয়ে লাইন আটকে দেয়ার বিষয়টি।

রাজধানীর গুলশানে গত ৪ জানুয়ারি পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে ড্রেনে কলা গাছ ঢুকিয়ে আলোচনায় আসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১১ জানুয়ারি) বারিধারাতেও কলা গাছ থেরাপির অভিযানে প্রস্তুতি নিচ্ছে ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনাকারী দল।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন জানিয়েছেন, ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম আজ বুধবার নিজে উপস্থিত থেকে বারিধারায় এ অভিযান পরিচালনা করবেন। মূলত পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে এ অভিযান পরিচালিত হবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম আগেই জানিয়েছিলেন, পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে আমরা অভিযান শুরু করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে, এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে আমরা এই তালিকা প্রণয়ন করে ফেলেছি। এমন সব বাসা বাড়িতে আমরা অভিযান পরিচালনা করব। যেখানে কেউ বিন্দুমাত্র ছাড় পাবেন না। কোনোভাবেই ব্ল্যাক ওয়াটার সিটি করপোরেশনের ড্রেনে, খালে বা লেকে ঢুকতে পারবে না। আমরা অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে তাদের জানিয়ে আসছি, সচেতন করেছি। গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছি, কিন্তু তারা কথা শোনেননি। ’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের নিজেদের জরিপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছে, গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন এলাকার ৩ হাজার ৮৩০টি বাড়ির মধ্যে ২ হাজার ২৬৫টির সুয়ারেজ লাইন লেক কিংবা ড্রেনে সংযোগ দেওয়া আছে। শতাংশের হিসেবে যা মোট বাড়ির ৮৫ শতাংশ। যার ফলে লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে এবং মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে।