বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের সরকার। সোমবার কুয়েতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী মোহাম্মদ আল আইবান ফি নির্ধারণের বিষয়ে নতুন এক নির্দেশনা জারি করেছেন।
জানা গেছে, কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ তালাল খালেদ আল আহমদ আল জাবের আল-সাবাহর সুপারিশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গৃহকর্মী নিয়োগের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নিয়োগের এই ফিতে গৃহকর্মীদের ভ্রমণের খরচ অর্থাৎ বিমানের টিকিটের মূল্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নতুন ফি কাঠামোতে বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোর প্রত্যেক গৃহকর্মীর জন্য ৭৫০ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি ২ লাখ ৬৭ হাজার ১৪০ টাকা) ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আফ্রিকান দেশগুলোর জন্য এই ফি ৫৭৫ কুয়েতি দিনার। এছাড়া স্পন্সরের সরবরাহ করা বিশেষ পাসপোর্টধারীদের জন্য ৩৫০ কুয়েতি দিনার ফি নির্ধারণ করেছে কুয়েত।
দেশটির বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, নিয়োগকারী অফিসগুলোর সাথে গৃহকর্মীদের বিরোধের সমাধান এবং গৃহকর্মীদের চুক্তি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নিয়োগকারীরা যাতে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পান, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন এই ফি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
কুয়েতের পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল ইনফরমেশনের (পিএসিআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কুয়েতে ৮ লাখ ১১ হাজার ৩০৭ জন নিবন্ধিত গৃহকর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে দেশটিতে সর্বাধিক সংখ্যক নিবন্ধিত গৃহকর্মী ভারতীয়। কুয়েতে ভারতীয় গৃহকর্মী রয়েছেন ৩ লাখ ৬১ হাজার ২২২ জন। এছাড়া দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফিলিপাইনের ২ লাখ ১ হাজার ১১০ জন নাগরিক গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। কুয়েতে লঙ্কান গৃহকর্মী আছেন ১ লাখ ২ হাজার ৬৮৫ জন। এছাড়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশটিতে ৮৫ হাজার ৯৮৯ জন বাংলাদেশি গৃহকর্মীর কাজে নিযুক্ত আছেন।
এরপরই পঞ্চম স্থানে থাকা নেপালের ২৫ হাজার ৫৫৪ জন নাগরিক দেশটিতে গৃহকর্মীর কাজ করছেন। ষষ্ঠ স্থানে ইথিওপিয়ার ১১ হাজার ৬৮৪, সপ্তম স্থানে বেনিনের ৫ হাজার ১০৫, অষ্টম স্থানে ইন্দোনেশিয়ার ২ হাজার ১০৩, নবম স্থানে মালির এক হাজার ৯০১ এবং দশম স্থানে মাদাগাস্কারের এক হাজার ৮৩৮ জন গৃহকর্মী কুয়েতে আছেন। পাশাপাশি অন্যান্য দেশের আরও ১১ হাজার ৬১৬ জন রয়েছেন; যারা কুয়েতে গৃহকর্মীর কাজে নিযুক্ত।