বাংলাদেশের পরীক্ষিত উন্নয়ন সহযোগি দেশ জাপান। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় দেশটির রাষ্ট্রদূত এই আশ্বাসের কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জাপান-বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে সবসময় সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাইকা কাজ করবে।
তিনি বলেন, গ্যাস মিটার তৈরিতে জাপানিজ কোম্পানি অনুদা (ONUDA) এর সাফল্য দেখে জাপানের আরও ছোট-বড় কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আসবে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ধারণা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পরিবর্তন করে উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করবে।
প্রতিমন্ত্রী জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পরিকল্পনা অনুসারে গৃহীত প্রকল্পসমূহে আগামী ৫ বছরে আরও ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে। যৌথভাবে একটি অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেনেন্স কোম্পানি করা যেতে পারে। এতে বাংলাদেশের অর্থ ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠান করার জন্য জাইকা সহযোগিতা করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন, যা সব খাতকে নেপথ্যে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জ্বালানি খাতের (গ্যাস ও তেল) বিস্তারিত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জাপান সহযোগিতা করতে পারে।
ওই সময় মাতারবাড়ি পাওয়ার হাব, ভূগর্ভস্থ তার ও সাব-স্টেশন, প্রিপেইড মিটার, স্মার্ট মিটার, গ্যাস মিটার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আগত প্রকল্পসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়।