হবিগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের মামলা করেছেন মাহা বাজোয়া নামের এক পাকিস্তানি নারী। স্ত্রী-সন্তানকে অবহেলা ও ব্যবসা করার জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা শহরের সাজ্জাদ হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে তিনি ১০ লাখ টাকার যৌতুক মামলা করেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আদালতের পেশকার তাজুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীনের আদালত মামলাটি আমলে নেন। একইসঙ্গে অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশ দেন বিচারক। সাজ্জাদ চুনারুঘাট শহরের বড়াইল এলাকার সফিউল্লা মজুমদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বামীর খোঁজে হবিগঞ্জে পাকিস্তানি নারী
আদালতের পেশকার তাজুল ইসলাম জানান, গত সোমবার ১০ লাখ টাকার যৌতুক মামলা দায়ের করেন পাকিস্তানি নারী। মঙ্গলবার শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারির নির্দেশ দেন বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট সৈয়দপুরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে মাহা বাজোয়া। তার সঙ্গে ১০ বছর আগে দুবাইয়ে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের পরিচয় হয়। পরে তারা ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েও করেন। তাদের জান্নাত নামে ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৮ সালে সাজ্জাদের বাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করেন মাহা বাজোয়া। পরে পাকিস্তানে চলে যান তিনি।
গত ১৭ নভেম্বর মাহা বাজোয়া পাকিস্তান থেকে স্বামীর বাড়ি চুনারুঘাটে আসেন। এসময় সাজ্জাদ স্ত্রীর প্রতি অবহেলা করার পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গত ৮ ডিসেম্বর যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাহা বাজোয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সাজ্জাদ। পরে মাহা বাজোয়া বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।