বিয়ের দিনক্ষণ আগেই ঠিক হয়েছিল। কনের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের দিন ঘটে বিপত্তি। তীব্র শীতের রাতে বরযাত্রী নিয়ে রওনা হওয়ার পর কনেপক্ষের প্রতারণার শিকার হতে হয়।
রোববার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের রীতি মেনে বর-কনে আইবুড়ো ভাত খাওয়া থেকে শুরু করে নান্দীমুখ পর্ব সবই সেরেছিলেন। ঝামেলা বাধে বিয়ের দিন। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ভাগীরথীর ফেরিঘাটের কাছে বরপক্ষের জন্য অপেক্ষা করার কথা ছিল কনের বাড়ির লোকজনের।
সেখানে যাওয়ার পর কনেপক্ষের কাউকে না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান বর নয়ন। তীব্র শীতের রাতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বরযাত্রী। ফোন করা হয় কনে ও তার পরিবারের লোকেদের। কিন্তু তাদের সবার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বর বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন! এরপরই থানায় যান তিনি।
বর নয়ন ঘোষ নদিয়ায় কালীগঞ্জের বালিয়াডাঙা-ফরিদপুরের বাসিন্দা। যে তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা, তিনি নয়নকে জানিয়েছিলেন, কাটোয়ায় এক আত্মীয়বাড়িতে তাদের বিয়ে হবে। সে অনুযায়ী রোববার রাতে আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব-সহ ১৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে কাটোয়ার গোয়ালপাড়া ঘাটে পৌঁছান নয়ন।
তার অভিযোগ, সেখানে পৌঁছেই কনের বাড়িতে ফোন করা হয়। যত বারই ফোন করা হয়, তত বারই তারা বলেন, ‘লোক যাচ্ছে।’ এভাবে প্রায় তিন ঘণ্টা কেটে যায়। অধৈর্য হয়ে শেষ বার যখন ফোন করা হয় মেয়ের বাড়িতে, তখন সবার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপরই থানায় যান তিনি।
নয়ন জানান, মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ তার সহকর্মী। তার মাধ্যমেই বর্ধমানের দত্তপাড়া এলাকার ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেম। বর্ধমান স্টেশনে মাঝেমধ্যেই দেখা করতেন দুজনে। সেই তরুণীর কথা মতোই রোববার বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এভাবে প্রতারিত হবেন, তা স্বপ্নেও ভাবেননি।
তিনি বলেন, কেন এরকম হলো, কিছুতেই বুঝতে পারছি না। পুলিশকে জানিয়েছি। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।