অনেক পুষ্টিকর একটি খাদ্য উপাদান ‘চিয়া সিড’। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করে। ছোট এই দানা বা বীজকে সুপার ফুডও বলা হয়। এটি আকারে অনেক ছোট হলেও পুষ্টিগুণে বেশ কাজ করে।
চিয়া সিডে ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট রয়েছে।
ছোট্ট দানাদার খাদ্যশস্য এই চিয়া সিডে রয়েছে এক গ্লাস দুধের চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম, বাদামের চেয়ে বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং ভরপুর এন্টি অক্সিডেন্ট। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে প্রচুর পরিমাণে শক্তি সরবরাহ করে। অনেকের বয়সের আগেই রিংকেলস পড়ে যায়, বয়স বেড়ে যায়। কিন্তু চিয়া সিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর বলে ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে এন্টি এজিং উপাদান তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে বয়সের আগেই রিংকেল পড়ে না সহজে। এজন্য ভেতর থেকে তারুণ্য ধরে রাখা যায় খুব সহজ। চিয়া সিড খেলে ত্বক টান টান ও সতেজ থাকে।
চিয়া সিড ওবেসিটি বা ওজনাধিক্য কমাতে সাহায্য করে। কারণ চিয়া সিডে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। চিয়া সিডে চর্বির শোষণ ক্ষমতাও অনেক বেশি, ফলে ফ্যাটি লিভার হওয়ারও ঝুঁকিও অনেকাংশে কমায়। এমনকি হৃদরোগ থেকেও রক্ষা করতে পারে এই ছোট্ট দানাদার খাবারটি।
চিয়া সিডে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস যা হাড়কে মজবুত ও শক্ত রাখতে সাহায্য করে। অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোধ, আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা থেকে দুরে রাখতে সাহায্য করে। হাড় শক্ত ও মজবুত থাকে বলে সহজে বার্ধক্য আসে না। তাই চির তরুণ ও সুন্দর থাকতে চাইলে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন সুপার ফুড ‘চিয়া সিড’।
ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই ছোট্ট দানা। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের খাদ্য তালিকায় এক চা চামচ চিয়া রাখলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে খুব সহজে।
যেভাবে খাবেন
কয়েক ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন।
দুধের তৈরি কোন মিষ্টিজাতীয় খাবারের সাথে খান।
সাবুদানা, ফ্রুট কাস্টার্ডের সাথে খাওয়া যেতে পারে।
এভাবে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে এই সুপার ফুড চিয়া সিড। এতে একদিকে যেমন মুখের স্বাদ বাড়বে তেমনি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে অনেকাংশে। পাশাপাশি শরীর থাকবে সুস্থ।