বছর শেষে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও নতুন বছরে প্রত্যাশা

:: ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন ::
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে গত প্রায় সাত বছর ধরে নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারনে স্থানীয় জনগণের নিরাপদ জীবনযাপনও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার চাহিদা মোতাবেক তেমন কোনো বৈদেশিক সাহায্য-সহযোগিতাও পাচ্ছে না।

জাতিসংঘের উদ্যোগে মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলো জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) আওতায় রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী মিলিয়ে ১৫ লাখ মানুষের জন্য এ বছর প্রায় ৮৭৬ মিলিয়ন ডলারের সহায়তার বিপরীতে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ তহবিল পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ত্রানসহায়তা হ্রাস রোহিঙ্গাদেরকে বাঁচার তাগিদে অবৈধ উপার্জনের দিকে প্রলুব্ধ করছে। এতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে এবং স্থানীয় অধিবাসী ও ক্যাম্পে অবস্থানকারী সাধারন রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে।

চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের সমন্বয়ে একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার সরকারের একটি প্রতিনিধি দল নভেম্বরে কক্সবাজার সফর করে তালিকাভুক্ত আড়াই শতাধিক রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে। বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে মিয়ানমার সরকারের সাথে সহযোগিতা চলমান রেখেছে। বর্তমানে মিয়ানমার জান্তা রাখাইন প্রদেশে অবরোধ আরোপ করে সেখানকার জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। জান্তা মিয়ানমানের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহ দমনে নাগরিকদের ক্ষুধায় মারছে। খাদ্য সরবরাহ বন্ধের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে খাবারের সন্ধানে কেউ বাইরে গেলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আরাকান আর্মিকে (এ এ) নিয়ন্ত্রণ করতে তারা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই প্রদেশে ‘ফোর কাট স্ট্রাটেজি’ (খাদ্য, ওষুধ, জনপদের মধ্যে চলাচলের সীমাবদ্ধতা) প্রয়োগ করছে। এর ফলে রাখাইনের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে এবং পাইলট প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তা হুমকির মুখে পড়েছে।

রাখাইনের পরিস্থিতির অবনতির কারনে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাগুলো বিপদসংকুল সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইউএনএইচসিআর এবং স্থানীয় সরকার আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসা, খাদ্য, পানি ও অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে। তবে ক্রমাগত অনুপ্রবেশের কারনে রোহিঙ্গাদের প্রতি স্থানীয়দের সহনশীলতা কমতে শুরু করেছে, কারণ তাদেরও অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করার ক্ষমতা খুবই সীমিত। কষ্টকর জীবন সংগ্রামের কারনে অনেক রোহিঙ্গা বিভিন্ন গন্তব্যে মরণপণ করে অভিবাসনের ঝুঁকি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় অধিকাংশই রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরার আশা হারাচ্ছে। বিশ্ব যেন রোহিঙ্গাদের ভুলে না যায় এবং রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত অবসান হয় রোহিঙ্গারা তাই চায়। মিয়ানমারের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

গত প্রায় সাত বছরে ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের একটি অংশ খুন, হত্যা, অপহরণ, ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, ধর্ষণ ইতাদি অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বশত্রুতার জেরে গোলাগুলির কারনে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬১টি সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৭৪ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। রোহিঙ্গারা ক্যাম্পগুলোয় অস্ত্র ও মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর হুমকির সৃষ্টি করছে।

ডিসেম্বর মাসে চীন বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা নারীদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর কে ১৫ লাখ ডলারের অনুদান দিয়েছে। ৬০ হাজারের বেশি বেশি রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরী ২০২৫ সাল পর্যন্ত চীনের ওই সহায়তার সুফল পাবে। চীন এই সংকট মোকাবেলায় তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে। চীন ভবিষ্যতে ইউএনএইচসিআরের আরও কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আশা  রাখে, তবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনেই এই সংকটের স্থায়ী সমাধান নিহিত রয়েছে বলে চীন মনে করে। রোহিঙ্গাদের জন্য চলমান মানবিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার জন্য চীন ও অন্যান্য দেশের মানবিক সাহায্য অতি জরুরি। মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে চীন দুই পক্ষের সাথেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে চলছে। চীনের মধ্যস্থতায় সামরিক সরকার, সংঘাত বন্ধে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। চীন মিয়ানমারকে চীনা বাসিন্দা এবং কর্মীদের সুরক্ষা দিতে এবং সীমান্তে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে। কেউ যদি চীনের স্বার্থে আঘাত করলে চীন তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে বলে জানিয়েছে৷

ভারত মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। ভারত এই পরিস্থিতিতে কাউকে সরাসরি সমর্থন করছে না। ইতিপূর্বে মিয়ানমারের জান্তার সাথে সুসম্পর্কের মাধ্যমে ভারত তার আভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছিল। মিয়ানমার পুরোপুরি চীনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ুক এটা ভারত কখনও চায়না। চলমান সংঘাতে ভারতে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সৈন্যদেরকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে। চিন ও সাগাইং রাজ্যে সাম্প্রতিক সশস্ত্র সংঘাতের কারনে ভারতে প্রচুর সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় নিয়েছে। ভারত বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখছে।

যুক্তরাষ্ট্র্র রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানালেও কোনো লাভ হয়নি। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) ৮৭ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করছে। নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএসএইড ডব্লিউএফপি’র সাথে একত্রে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা, অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, স্বনির্ভরতা ও জীবিকা সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করবে। এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা সঙ্কটে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রায় দুই দশমিক চার বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারের পাশাপাশি রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করতে অন্য দেশগুলোকেও উৎসাহী করতে কাজ করছে। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর জেনেভায় বৈশ্বিক শরণার্থী ফোরামের (জিআরএফ)  সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টিও রয়েছে। ২০২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রামের (ইউএসআরএপি) আওতায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করা হবে। সে দেশের শ্রমবাজারে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, রোহিঙ্গাদের স্বাক্ষরতা, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তামূলক বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালাবে  এবং রোহিঙ্গাদের ও আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সহায়তায় আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সম্পৃক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র কার্যকরভাবে কাজ করবে।

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো থেকে  নতুন এক হাজার ২০০ জন ও ভাসানচরে পৌঁছেছে। ভাসানচরে নিরাপদ ও উন্নত জীবনযাপনের সব ব্যবস্থা রয়েছে। ভাসানচরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার জন্য তুরস্ক সরকার একটি সমুদ্র অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছে। কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো থেকে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় বর্তমানে ভাসানচরে বসবাস করছে। কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে খুনের ঘটনা, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা বাড়ছে। তাই রোহিঙ্গারা পরিবার নিয়ে নিরাপদ থাকতে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছে।

২০২৩ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রাপ্ত সাহায্য আশানুরূপ নয়, সামনের দিনগুলোতে এই ত্রান সহায়তা চলমান রাখতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা মেটানোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার বন্ধে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ততা বন্ধ করার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। রাখাইনের স্থিতিশীল পরিস্থিতি নিশ্চিত পূর্বক চীনের নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। এই কার্যক্রমে একটা সেইফ জোন সৃষ্টি করে ক্রমান্নয়ে প্রত্যাবাসন চলমান রাখা যেতে পারে। চীন ও ভারত আঞ্চলিক শক্তিধর দেশ, উভয় দেশের সাথেই বাংলাদেশের বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মিয়ানমারে উভয় দেশের স্বার্থ রয়েছে, তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। আগামীতে তাদেরকে এই সংকট নিরসনে আরও ইতিবাচক ভুমিকা রেখে এগিয়ে আসা দরকার।

রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়, এটা একটা আঞ্চলিক সংকট। এই সংকট মোকাবেলায় ডিসেম্বর মাসে চীন প্রথবারের মত ত্রান সহায়তায় যুক্ত হয়েছে যা আশাব্যঞ্জক। আঞ্চলিক দেশগুলোরও এই সহায়তা কার্যক্রমে  এগিয়ে আসা দরকার। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রান সহায়তা চলমান রেখেছে এবং তাদের দেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পরিকল্পনা করছে যা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। এই উদ্যোগ যেন দ্রুত বাস্তবায়িত হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ত্রান সহায়তা উপর নির্ভরশীল না থেকে ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কারিগরি প্রশিক্ষণের যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে বলে আশা করা যায়, এই প্রচেষ্টা যেন চলমান থাকে।

বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, এজন্য বাংলাদেশ সরকার আন্তরিক ধন্যবাদ প্রাপ্য এবং বাংলাদেশের এই কার্যক্রম আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। চলমান এই প্রক্রিয়া ভাসানচরে অর্থায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন আবাসন তৈরিতে সহায়তা করে তাদের  জীবনমান উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে পারে।

সবশেষে, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় নেয়া উদ্যোগগুলো ইতিবাচক হলে ও বছর শেষে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। আগামী বছরে এই চলমান উদ্যোগগুলো আশার আলো দেখবে এবং রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে এই প্রত্যাশা রইল।  বহু দশক ধরে চলমান এই সমস্যা সামনের দিনগুলোতে সমাধান হোক এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক।

লেখক: ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এম ফিল। মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক।