পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
ক্যারিয়ারে প্রায় সব কিছুই অর্জন করেছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু এতো কিছুর পরও একটি অপূর্ণতা রয়ে গেছে তার। বিশ্বকাপটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। আর তার শেষ সুযোগটা হয়তো আজ (রোববার) রাতেই পাচ্ছেন মেসি। এবার কি পারবেন তিনি? উত্তরটা মিলবে রাতেই।
লিওনেল মেসি নিজের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে পাবেন পরম আরাধ্য শিরোপার স্বাদ, এমন প্রার্থনা চলছে। কেবল আর্জেন্টিনাতে নয়, গোটা দুনিয়াতেই। এমনকি ফ্রান্সেরও অনেকে নিজ দেশের বিপক্ষে ফাইনালে মেসিকে জয়ী দেখার অপেক্ষায় আছেন বলে মনে করছেন দিদিয়ের দেশম। তবে স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতা ও ফুটবলপ্রেমীদের বড় অংশের আর্জেন্টিনাকে সমর্থন সত্ত্বেও ভারমুক্ত আছেন ফরাসি কোচ।
রোববার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়। মহারণের আগে সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা দেশম বলেছেন, কোনো চাপ বোধ করছেন না তিনি, ‘ম্যাচ নিয়ে আমি চিন্তিত নই, চাপেই নেই। এমন ম্যাচের জন্য প্রস্তুতিপর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মনোযোগ ঠিক রাখা ও শান্ত থাকা।’
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন মেসি। তবে বিশ্বকাপ এখনও অধরা তার। ২০১৪ সালের আসরে খুব কাছে পৌঁছালেও জার্মানির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তার। এবার দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। লক্ষ্য পূরণের দ্বারপ্রান্তে তিনি। ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে তুলেছেন ফাইনালে। ছয় ম্যাচ খেলে নিজে পাঁচ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন তিন গোল।
৩৫ বছর বয়সী মেসি শেষটা রাঙাতে পারবেন তো? অপেক্ষায় আছেন খোদ ফ্রান্সেরই প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য দাভিদ ত্রেজেগে। নিজ দেশের বিপক্ষে খেলা হলেও গত শুক্রবার সাবেক এই স্ট্রাইকার মেসির হাতে শিরোপা দেখার প্রত্যাশা জানান। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদোর কণ্ঠেও ঝরেছে একই সুর। কয়েকদিন আগে ‘দ্য ফেনোমেনন’ জানান, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় আর্জেন্টিনাকে সমর্থন দিতে পারছেন না। তবে মেসি বিশ্বকাপ জিতলে খুশি হবেন।
অনেকের মতে, মন মাতানো ফুটবলে অগণিত অর্জনের কারণে সোনালী ট্রফিটা মেসির প্রাপ্য। সেই তালিকায় আছেন ফ্রান্সেরও অনেকে। তবে দেশম জল ঢেলে দিতে চাইছেন তাদের আশায়, ‘আমি জানি, আর্জেন্টিনা ও সারা বিশ্বের মানুষ এবং হয়তো কিছু ফরাসিও মেসিকে বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চান। কিন্তু আমরা আমাদের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবকিছুই করব।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে ফ্রান্সকে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন দেশম। দুই দশকের ব্যবধানে তার কোচিংয়ে গত ২০১৮ আসরে দ্বিতীয়বার শিরোপা উঁচিয়ে ধরে দলটি। এবার ফুটবলের ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে খেলোয়াড় হিসেবে একটি ও কোচ হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ জয়ের অনন্য কীর্তি গড়ার হাতছানি তার সামনে।