বাংলাদেশে ফিরলে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তাও চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাফ জানিয়েছে, সাকিব দেশে ফিরলে, বাইরে যেতে পারবে কি না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই নিশ্চয়তা আসতে হবে।
দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। সঙ্গে শর্তও জুড়ে দেন, দেশত্যাগের নিশ্চয়তা পেলেই কেবল দেশে ফিরবেন। কেননা, সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে সাকিব নিশ্চুপ থাকায় দেশের জনতার একাংশ তার ওপর ক্ষুব্ধ। তাই, সাকিব দেশে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে পারলেও প্রয়োজনে দেশ ত্যাগ করতে পারবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এজন্য নিজের নিরাপত্তা, দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা পেলেই ঢাকায় এসে শেষ টেস্ট খেলার কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এমন কোনো নিশ্চয়তা সাকিবকে দিতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পূর্বনির্ধারিত বোর্ড সভা হয় মিরপুরে। চার ঘণ্টার সভা শেষে বেরিয়ে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ বা র্যাব না। কিংবা বিসিবিও এখানে কেউ না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টা আসতে হবে। নিরাপত্তাটা দুই রকম। একটা হচ্ছে- ক্লিয়ারিং ফ্রম (দেশ ছাড়ার)। এটা হয়ত আপনাদের বলেছে। আরেকটা হলো, দর্শকদের থেকে নিরাপত্তা। এটা আসলে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা এখানে পার্ট হতে পারব না আসলে। এই মুহূর্তে বোর্ড থেকে এ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব না। বোর্ড ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না আসলে। সেই এবিলিটিও নেই।’
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চাইলেও সাকিবের পাশে বোর্ড থাকতে পারছে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘সাকিব তার জীবনের কঠিন সময় পার করছে। সব দিক থেকে। আমার আসলে খুব বেশি কিছু বলার ছিল না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। টেস্টের কথা সে বলেছে। ঢাকা থেকে সে রিটায়ার করতে চায়। এটা আমরা সম্মান জানিয়েছি। সাথে এটাও আলোচনা হয়েছে, তার কেসের ব্যাপারে কী হবে, না হবে। আমরা জানিয়েছি, আমাদের বোর্ডের কিছু করার নেই। ওই পর্যায় থেকে আসতে হবে।’
‘পুরোপুরি ওই জিনিসটা আছে, ও যদি শেষ টেস্টটা খেলতে চায়, তাহলে ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি, নাথিং লাইক ইট। সেটা যদি হয়, খুব ভালো হবে। বাকিটা ওর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ক্লিয়ারেন্সটা কে দিবে? আমাদের বোর্ড থেকে কিন্তু এই ক্লিয়ারেন্স দিতে পারব না। এটা অবশ্যই অবশ্যই উচ্চ পর্যায় থেকে আসতে হবে’– যোগ করেন ফারুক আহমেদ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও সাকিব অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ফরম্যাটে তাকে বিবেচনা না করতে অনুরোধ করেছেন। কানপুর টেস্টের পর সাকিব তিন টি-টোয়েন্টি খেলবেন না। সাকিব চলে যাবেন আমেরিকায় পরিবারের কাছে। ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে হলে মধ্য অক্টোবরে তাকে ফিরতে হবে। যদি দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা না পান, সাকিব ফিরবেন না। তাহলে কানপুর টেস্টই সাকিবের জন্য শেষ টেস্ট হয়ে থাকবে। ফারুক আহমেদ সেই কথাও বলেছেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ও ইচ্ছা পোষণ করেছে, শেষ টেস্ট খেলতে চায় মিরপুরে। কিন্তু, যদি দেশ ছাড়তে না পারে, তখন যে পরিস্থিতি তৈরি হবে, তখন আমরা ওইটা নিয়ে চিন্তা করব। এখন কানপুরে খেলছে। ওখানে যদি খেলে এবং পরে যদি দেশে আসতে না পারে, তাহলে এটাই তার শেষ ম্যাচ হবে। বিষয়টা (সাকিবের নামে হত্যা মামলা) বিচারাধীন, তাই আমাদরে বেশি কিছু করার নেই।’’ে
বাংলাদেশে ফিরলে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তাও চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাফ জানিয়েছে, সাকিব দেশে ফিরলে, বাইরে যেতে পারবে কি না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই নিশ্চয়তা আসতে হবে।
দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। সঙ্গে শর্তও জুড়ে দেন, দেশত্যাগের নিশ্চয়তা পেলেই কেবল দেশে ফিরবেন। কেননা, সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে সাকিব নিশ্চুপ থাকায় দেশের জনতার একাংশ তার ওপর ক্ষুব্ধ। তাই, সাকিব দেশে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে পারলেও প্রয়োজনে দেশ ত্যাগ করতে পারবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এজন্য নিজের নিরাপত্তা, দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা পেলেই ঢাকায় এসে শেষ টেস্ট খেলার কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এমন কোনো নিশ্চয়তা সাকিবকে দিতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পূর্বনির্ধারিত বোর্ড সভা হয় মিরপুরে। চার ঘণ্টার সভা শেষে বেরিয়ে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ বা র্যাব না। কিংবা বিসিবিও এখানে কেউ না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টা আসতে হবে। নিরাপত্তাটা দুই রকম। একটা হচ্ছে- ক্লিয়ারিং ফ্রম (দেশ ছাড়ার)। এটা হয়ত আপনাদের বলেছে। আরেকটা হলো, দর্শকদের থেকে নিরাপত্তা। এটা আসলে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা এখানে পার্ট হতে পারব না আসলে। এই মুহূর্তে বোর্ড থেকে এ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব না। বোর্ড ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না আসলে। সেই এবিলিটিও নেই।’
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চাইলেও সাকিবের পাশে বোর্ড থাকতে পারছে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘সাকিব তার জীবনের কঠিন সময় পার করছে। সব দিক থেকে। আমার আসলে খুব বেশি কিছু বলার ছিল না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। টেস্টের কথা সে বলেছে। ঢাকা থেকে সে রিটায়ার করতে চায়। এটা আমরা সম্মান জানিয়েছি। সাথে এটাও আলোচনা হয়েছে, তার কেসের ব্যাপারে কী হবে, না হবে। আমরা জানিয়েছি, আমাদের বোর্ডের কিছু করার নেই। ওই পর্যায় থেকে আসতে হবে।’
‘পুরোপুরি ওই জিনিসটা আছে, ও যদি শেষ টেস্টটা খেলতে চায়, তাহলে ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি, নাথিং লাইক ইট। সেটা যদি হয়, খুব ভালো হবে। বাকিটা ওর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ক্লিয়ারেন্সটা কে দিবে? আমাদের বোর্ড থেকে কিন্তু এই ক্লিয়ারেন্স দিতে পারব না। এটা অবশ্যই অবশ্যই উচ্চ পর্যায় থেকে আসতে হবে’– যোগ করেন ফারুক আহমেদ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও সাকিব অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ফরম্যাটে তাকে বিবেচনা না করতে অনুরোধ করেছেন। কানপুর টেস্টের পর সাকিব তিন টি-টোয়েন্টি খেলবেন না। সাকিব চলে যাবেন আমেরিকায় পরিবারের কাছে। ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে হলে মধ্য অক্টোবরে তাকে ফিরতে হবে। যদি দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা না পান, সাকিব ফিরবেন না। তাহলে কানপুর টেস্টই সাকিবের জন্য শেষ টেস্ট হয়ে থাকবে। ফারুক আহমেদ সেই কথাও বলেছেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ও ইচ্ছা পোষণ করেছে, শেষ টেস্ট খেলতে চায় মিরপুরে। কিন্তু, যদি দেশ ছাড়তে না পারে, তখন যে পরিস্থিতি তৈরি হবে, তখন আমরা ওইটা নিয়ে চিন্তা করব। এখন কানপুরে খেলছে। ওখানে যদি খেলে এবং পরে যদি দেশে আসতে না পারে, তাহলে এটাই তার শেষ ম্যাচ হবে। বিষয়টা (সাকিবের নামে হত্যা মামলা) বিচারাধীন, তাই আমাদরে বেশি কিছু করার নেই।’