ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা রহস্যের গিঁট খুলতে ডেমরা-রূপগঞ্জসংলগ্ন চনপাড়া এলাকার চার গ্যাংস্টারের দিকে নজর রেখেছে গোয়েন্দারা। তারা হলেন- রায়হান, নূর জামাল, মাল্টা রনি ও মুজাহিদ। পাশাপাশি চনপাড়াকেন্দ্রিক মাদক চক্রের এক নারীসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সন্দেহভাজনদের ধরতে ধারাবাহিক অভিযানে রয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
এদিকে গতকাল শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেছেন, বুয়েট ছাত্র হত্যার ঘটনায় এখনও কংক্রিট তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা এ কথা এখনও বলছি না, মাদকের কারণে সে খুন হয়েছে। আবার ফারদিনের বন্ধুকে (আমাতুল্লাহ বুশরা) আমরা গ্রেপ্তার করেছি- তিনিই খুন করেছেন, সেটিও আমরা বলছি না। আমরা পারিপার্শ্বিকতা, বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করছি। সব বিষয়, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছি। ঢাকা শহরে তারা যেখানে যেখানে গিয়েছেন, আমরা বিভিন্ন টেকনিক্যাল মাধ্যমে সেগুলো খুঁজে বের করেছি।
তিনি আরও বলেন, ফারদিনের মোবাইল ফোনের ডাটা অ্যানালাইসিস করে সে কার কার সঙ্গে কথা বলেছে, সবকিছু মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সে ঢাকা শহরের কোনো এক জায়গায় খুন হতে পারে। মোবাইলের লোকেশনে আমরা নারায়ণগঞ্জও পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে সবকিছু বলতে পারছি না।
গত ৪ নভেম্বর রাতে ফারদিনের সর্বশেষ মোবাইল ফোনের অবস্থান ছিল চনপাড়ায়। এটি রাজধানীর ডেমরা ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসংলগ্ন এলাকা
হত্যা রহস্যের জট খুলতে ফারদিনের গতিবিধির খোঁজখবর নিতে প্রযুক্তিগত তদন্তের সহায়তা নেয়া হচ্ছে। ৪ নভেম্বর রাত ছাড়াও ১ ও ২ নভেম্বর দিনে চনপাড়াসংলগ্ন এলাকায় তার অবস্থান পাওয়া গেছে। সেখানে কী কারণে তিনি গিয়েছেন, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরার বাসা থেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে যেতে বের হন ফারদিন। পরদিন তার পরীক্ষা থাকলেও তিনি অংশ নেননি।
জানা যায়, বুশরাকে নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন তিনি। এরপর ওই ঘটনায় রামপুরা থানায় জিডি করা হয়। গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মেলে এক লাশ। পরে শনাক্ত হয় লাশটি ফারদিনের। গত বৃহস্পতিবার বুশরার নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ফারদিনের বাবা। মামলায় পাঁচ দিনের হেফাজতে রয়েছেন ওই তরুণী।