প্রেমের জন্য নিজের শরীরে আগুন দিল কলেজছাত্রী

:: পা.রি. ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

ফেনীতে নিজের শরীরে আগুন দিয়েছেন মাশকুরা আক্তার মুমু (১৯) নামে এক কলেজছাত্রী। আগুনে তার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ মুমুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মিয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার পাশে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই মাদরাসার অফিস সহকারী আবদুল মালেকের মেয়ে।

মাশকুরা আক্তার মুমু ফেনী ন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে শহরের পাঠান বাড়ি সড়কে থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার রামনগর এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মিয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার সামনে এক ফল ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুমুর। তাদের মধ্যে কিছুদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। আজ সকালে ওই এলাকায় যান মুমু। কিছুক্ষণ পর মাদরাসার পাশে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ মাশকুরা আক্তার মুমু সাংবাদিকদের কাছে নিজের শরীরে নিজে আগুন দিয়েছেন বলে জানান।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. সাইদুর রহমান বলেন, দগ্ধ শিক্ষার্থীর শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংপ্রু মারমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, একজন শিক্ষার্থী আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মুমুর বাবা আব্দুল মালেক মুঠোফোনে বলেন, আমি এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আছি। কী হয়েছে আমি ঠিক জানি না। আপাতত আমি মেয়ের চিকিৎসায় গুরুত্ব দিচ্ছি।

লক্ষ্মীয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামাল জাব্বারী বলেন, আজ (সোমবার) বিকেলে মাদরাসা মাঠে ফেনী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্বাচনী সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আমাদের প্রস্তুতি চলছিল। দুপুর ১২টার দিকে আমরা মাদরাসার অফিস কক্ষে একটি মিটিংয়ে ছিলাম। এ সময় একটি ছেলে এসে মুমুর বাবাকে বলল সে গায়ে আগুন দিয়েছে। আমরা দ্রুত গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।