প্রাথমিকে ক্লাস সকাল ৯টা থেকে সোয়া চারটা

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১১ মাস আগে
প্রতীকী ছবি

২০২৪ সালে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন রুটিন প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।‌ নতুন রুটিনে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা হবে না। জুন মাসের শেষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (অর্ধ-বার্ষিক) এবং ডিসেম্বর মাসে ধারাবাহিক মূল্যায়নের শিখন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত এ রুটিন মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

এতে এক শিফট ও দুই শিফটের স্কুলগুলোর জন্য আলাদা আলাদা রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন বছরে এক শিফটের স্কুলগুলোতে সকাল নয়টায় শুরু হয়ে চলবে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। আর দুই শিফটের স্কুলগুলোর ক্লাস সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত।

নতুন পাঠ-পরিকল্পনা অনুযায়ী আসছে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হবে শিক্ষকদের।

এনসিটিবি জানিয়েছে, ক্লাস রুটিনে পিরিয়ডের সময় ঠিক রেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে বিষয়ের বিন্যাস পরিবর্তন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম শ্রেণীর সাথে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতে নতুন কারিকুলামে পাঠদান করা হবে। এবছর শুধু ১ম প্রথম শ্রেণীতে নতুন কারিকুলাম এর পাঠদান করা হয়েছে।

রুটিনে শিক্ষকদের জন্য নির্দেশনা:
• ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে মোট কর্ম-দিবস এবং সাপ্তাহিক ক্লাস রুটিনের আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ এর বার্ষিক শিখন সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে মাস-ভিত্তিক বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

* শিখন ঘাটতি পূরণে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনায় প্রতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাঠের পুনরালোচনা রাখা হয়েছে।

• নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে পাঠ শেষ করতে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা বিদ্যালয়ের জন্য একটি গাইড লাইন। তবে শিক্ষক শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুসারেও পাঠ বিভাজন করতে পারবেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষাবর্ষের মোট কর্ম-দিবসের মধ্যে কার্যকরভাবে পাঠ্যপুস্তকের সমগ্র বিষয়বস্তু পড়ানো শেষ করতে হবে।

• বাংলা বিষয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনায় পুনরালোচনার দিনগুলোতে কমপক্ষে ১০ মিনিট সংশ্লিষ্ট নির্দেশনার আলোকে সম্পূরক পঠন সামগ্রী (এস আর এম) ব্যবহার করবেন।

• ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণিতে জুন মাসের শেষে ধারাবাহিক মূল্যায়নের অর্ধ-বার্ষিক এবং ডিসেম্বর মাসে ধারাবাহিক মূল্যায়নের শিখন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে।

• ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে তিনটি প্রান্তিকের নির্ধারিত সময় ও সিলেবাসে সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনা করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এক প্রান্তিকের সিলেবাস অন্য প্রান্তিকে অন্তর্ভুক্ত হবে না।

• ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির প্রান্তিক মূল্যায়ন চলাকালীন ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির পাঠের পুনরালোচনা চলমান থাকবে।