‘প্রতিবন্ধীরা খুব কম বা কোনো সাহায্যই পান না’

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট
প্রকাশ: ২ years ago

জনসংখ্যার ১০ শতাংশ, অর্থাৎ বেশ বড় একটি অংশ হচ্ছেন প্রতিবন্ধীরা। এরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন, কারণ এরা খুব কম বা কোনো সাহায্যই পান না। সমাজে সকলের সঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তাদের জন্য কমিউনিটিতে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবাগুলো নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হেটেলে ব্র্যাক আয়োজিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং উপযুক্ত কর্মসংস্থান বিষয়ে জাতীয় নীতি সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট একটি প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান এবং সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

ব্র্যাকের সিনিয়র ডিরেক্টর কে এ এম মোর্শেদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আশরাফ আলী খান খসরু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরিন আফরোজ। ব্র্যাকের পরিচালক (শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন) সাফি রহমান সমাপনী বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্র্যাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এডিডি ইন্টারন্যাশনাল, সেন্টার ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) এবং লাইট ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের সহযোগীতায় ২০২০ সালে ‘প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং যুব কর্মসংস্থান’ নামে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শোভন কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীতার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা এবং মূল স্টেকহোল্ডারদের দিয়ে আরো সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার জন্য পথ প্রশস্ত করা। এ প্রকল্পটি এক হাজার ২৩৩ জন প্রতিবন্ধী যুবকের কাছে পৌঁছেছে। প্রশিক্ষিত স্নাতকদের মধ্যে ৯৭ শতাংশের অনানুষ্ঠানিক বাজারে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি ২৬১ জন যুবক সহায়ক ডিভাইস সহায়তা পেয়েছেন এবং গোল্ডেন সিটিজেনশিপ কার্ড পাওয়ার জন্য ৭০৩ জনকে সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পের সময়কালে একটি স্টিগমা রিপোর্ট, একটি বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন টুলকিট ও একটি সংক্ষিপ্ত নীতিমালাসহ চারটি শিক্ষামূলক তথ্য তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য হলো সকলকে সমান সুযোগ প্রদান করার পাশাপাশি সমাজের ধারণা পরিবর্তন করা। সমাজে সকলের সঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তাদের জন্য কমিউনিটিতে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবাগুলো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এবং ব্র্যাককে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

সাইটসেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও বলেন, ‘ব্র্যাকের তৈরি স্টার মডেলটি একটি পরীক্ষিত এবং যথার্থ অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল। কিন্তু এর উন্নয়ন সাধনের জন্য দুটি লক্ষ্য অর্জন করা আবশ্যক। প্রত্যেকের সক্ষমতাকে চিহ্নিত করতে পারতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই স্থানীয় বাজার ও শিল্প বাজারকে প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।’


আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।

গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।


Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net