স্পোর্টস ডেস্ক:
স্পটকিক নেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেন গোলরক্ষকের গতিবিধি। এরপর তার মুভমেন্ট দেখেই শট নেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ক্রোয়েট গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচও ঠিক একই কৌশল অবলম্বন করেন। অপেক্ষা করেন শট নেওয়ার। তাই এ লিভাকোভিচের বিপক্ষে পেনাল্টি শট নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেন মেসি। আর এর পেছনের গল্পটাও জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
খেলোয়াড়দের স্পটকিক নেওয়ার আগ মুহূর্ত অপেক্ষা করে শট দেখেই ঝাঁপ দেওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক প্রান্তে থাকেন লিভাকোভিচ। সেক্ষেত্রে বল তার নাগালে থাকলে ঠেকিয়ে দিতে পারেন তিনি। তবে খেলোয়াড় যদি বুলেট গতির শট নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে ঝাঁপ দিয়েও নাগাল পাওয়া বেশ কঠিনই গোলরক্ষকদের জন্য। আর এই কৌশলেই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেন মেসি।
সঠিক প্রান্তে ঠিকই ঝাঁপ দিয়েছিলেন লিভাকোভিচ। পরাস্ত হয়েছেন ওই গতির কাছে। অথচ ক্রোয়েশিয়ার এই গোলরক্ষক চলতি আসরে নজর কেড়েছিলেন একের পর এক পেনাল্টি রুখে। তার বীরত্বে জাপান ও ব্রাজিলের বিপক্ষে নকআউটের দুই ম্যাচের টাইব্রেকারে জয় পেয়েছিল ক্রোয়াটরা। তাই দমিনিককে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছিলেন মেসি। আর এই কাজে তাকে সাহায্য করেছিলেন তার দলের দুই গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ও জেরোনিমো রুলি।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ৩৪ মিনিটে নেওয়া বুলেট গতির পেনাল্টি শটে লক্ষ্যভেদ প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বৃহস্পতিবার সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘আমি জেরোনিমো (রুলি) ও দিবুর (মার্তিনেজ) সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষকের কৌশল পর্যালোচনা করেছি। সে কীভাবে (জাপান ও ব্রাজিলের বিপক্ষে) অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিল সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম।’
‘সবচেয়ে ভালো উপায় ছিল তাকে চমকে দেওয়া ও প্রথমবারেই মেরে দেওয়া, অপেক্ষা করে তাকে দাঁড় করিয়ে রাখার চেয়ে। যখন তারা তাকে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে এটা কঠিন হয়ে পড়ে। আমি ভেবেই রেখেছিলাম এমন শট নেব,’ যোগ করেন মেসি।
রোববার লুসাইল স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে পেনাল্টি পেলে মেসিকে করতে হবে সময়ের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হুগো লরিসের মোকাবিলা। সেদিন কোন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামেন মেসি, সেটাই এখন দেখার