জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে এ খাতের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ডাকা চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা ও আন্দোলনকারীদের বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিপিসির পরিচালক অনুপম বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি ও জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরীর অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ করার দাবিতে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের ডাক দিয়েছিল জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
ধর্মঘটে যাওয়া সংগঠনগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি।
ধর্মঘটের খবর শুনে শনিবার রাত থেকেই বিভিন্ন পাম্পে তেল নেওয়ার জন্য গাড়ির দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। রোববার সকালে অনেকেই বিভিন্ন পাম্পে গিয়ে তেল না পেয়ে চরম ভোগন্তির শিকার হয়েছেন।
পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (একাংশ) মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন বলেন, ‘তিনটির মধ্যে একটি দাবি পূরণ হয়েছে। অপরটি পূরণ হওয়ার পথে। এখন আমাদের একটা দাবি সেটা হলো- তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি। আমরাও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে চাই না। এজন্যই পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ না করে উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখেছি। সাধারণ প্রতিটি পাম্পে ১ থেকে ২ দিনের তেল মজুদ থাকে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করব।’