সাভারের ভাকুর্তা গ্রামের নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি আকর্ষণীয় গয়না নিয়ে দুইদিনব্যাপী ইমিটেশন জুয়েলারি মেলা ১ অক্টোবর রোববার শেষ হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির আনন্দ অঙ্গন চত্বরে এ মেলা শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর।
মেলা উদ্বোধন করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: ফজলুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ও অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। পিকেএসএফের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের সাসটেনেইবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের অর্থায়নে মেলা আয়োজন করে সোস্যাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস)।
মেলা উপলক্ষে ফজলুল কাদের বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের সমাজে একটি অবস্থান নিশ্চিত করাই এই মেলা আয়োজন একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভাকুর্তার গয়না উদ্যোক্তাদের কারখানার পরিবেশের পাশপাশি তাদের সামাজিক টেকসইতা নিশ্চিত করতে পিকেএসএফ প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে তিনি এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ভাকুর্তার নারীদের তৈরি নিখুঁত গয়না দেশে-বিদেশে প্রচারে শিল্পকলা একাডেমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তিনি আরও বলেন, ভাকুর্তার গয়না আমাদের সংস্কৃতিরই একটি অংশ এবং দেশের ঐতিহ্য।
মেলার দ্বিতীয় দিন দুপুরে মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখেন ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক মুনতাসীর মামুন। তিনি উদ্যোক্তাদের গয়নার ডিজাইনে গতানুগতিক কালারের পাশাপাশি এন্টিক কালার করার পরামর্শ দেন।
সাসের পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ভাকুর্তায় ইমিটেশন জুয়েলারি গয়না উৎপাদন কাজে জড়িত দুই হাজার উদ্যোক্তা ও ১২ হাজার কারিগর নারীদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখছেন। নির্বাহী পরিচালক হামিদা বেগম বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি গয়না জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই মেলার আয়োজন। অনুষ্ঠানে ভাকুর্তার তিনজন সফল নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
দুদিনব্যাপী এই মেলায় কয়েক হাজার দর্শনার্থী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং নানা ডিজাইনের গয়না ক্রয় করেন।