ঢাকার ধামরাইয়ে ২ সন্তানের জননীর সঙ্গে পরকীয়া করতে এসে জনতার হাতে ধরা খেলেন মোহাম্মদ আলী নামে মসজিদের এক ইমাম। গণধোলাই দিয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে তালাবদ্ধ করে ঘরে আটকে রাখা হয়। এর পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে ধামরাই থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গত শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের বড়কুশিয়ারা লেবুবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
মাওলানা মোহাম্মদ আলী সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার বাউশা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ও ঢাকার ধামরাইয়ের চাপিল এলাকার একটি মসজিদের ইমাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ২ সন্তানের জননীর ঘরে আসেন মোহাম্মদ আলী। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ওই ঘরের ভেতর আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক গণধোলাই দেয়। এরপর ওই প্রেমিক যুগলকে তালবদ্ধ করে ঘরের ভেতর আটকে রাখা হয়।
লজ্জায় ঘৃণায় ও রাগে ক্ষোভ অভিমানে ওই প্রেমিকযুগল একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে পারে আশংকায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. পলান মিয়া ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ধামরাই থানার এসআই মো. জসীম উদ্দীন খানের কাছে সোপর্দ করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ সূত্র।
ওই গৃহবধূ বলেন, আমি ভুল করেছি। এখন আমি খুবই অনুতপ্ত। স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি ক্ষমা করে আমাকে মেনে নিলে ভবিষ্যতে আর এমন কাজ আমি করব না।
ওই গৃহবধূর স্বামী জানান, আর যাইহোক এমন নারীর সঙ্গে কখনো ঘর-সংসার করা যায় না। আমি এ নারীর কাছ থেকে মুক্তি চাই।
ইউপি সদস্য পলান মেম্বার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেই।
এসআই জসীম উদ্দীন খান বলেন, ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এর পর ঘরের তালা খুলে ওই ইমাম ও গৃহবধূকে থানা হেফাজতে আনা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ধামরাই থানার ওসি মোহাম্মদ হারুণ অর রশীদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।