‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ ঘোষণা করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার পর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। ইশতেহার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইশতেহার কমিটির প্রধান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।
আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে স্লোগান- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মত ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে দলটি।
নবম সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করার পর টানা তিন মেয়াদ ধরে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করে আসছে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘দিনবদলের সনদ’ স্লোগানে তাদের ইশতেহারে ছিল ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে ইশতেহার ঘোষণা করে দলটি। শিরোনাম ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহারের শিরোনাম ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। লক্ষ্য ছিল ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া।
এবার টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের জন্য ভোটের লড়াইয়ে নামার অনেক আগেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ নামে নির্বাচনী স্লোগান ঠিক করে আওয়ামী লীগ।
১. দ্রব্যমূল্য সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সকলকে যুক্ত করা।
৯.আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সকল ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।