নিজ ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক

:: ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর ::
প্রকাশ: ১০ মাস আগে
সংগৃহীত ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন তার অনুসারীরা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পরিবহন চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেলিন মাহবুব ও আরাফাত ইসলাম বিজয়, সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার, সহ-সভাপতি জাহিদুজ্জামান শাকিল ও ফয়সাল খান রকি এবং অর্থ-সম্পাদক তৌহিদুল আলম তাকিদ প্রমুখ নেতৃত্ব দেন।

সম্পাদক হওয়ার পর থেকে কর্মীদের খোঁজখবর না রাখা, নিজ হলকেন্দ্রিক রাজনীতি, কর্মীসভার পরও হল কমিটি না দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমি দখল এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও ব্যস্ততার অজুহাত দেওয়ার অভিযোগ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ শোয়াইব চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে আজ অবধি কর্মীদের খোঁজ না রাখা, কমিটির দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে সমন্বয় না করা, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতি বিকেন্দ্রীকরণ না করে নিজ হল কেন্দ্রিক চিন্তাচেতনা পোষণ করা, প্রত্যেকটি হলের কর্মীসভা করেও দীর্ঘদিন যাবৎ হল কমিটি না দেওয়া, হল কমিটির বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বিভিন্ন সময়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা এবং নানা ব্যস্ততার অজুহাত দেখানোসহ সব সময়ই ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন হাবিবুর রহমান লিটন।

সাজ্জাদ শোয়াইব আরও বলেন, এসব গুরুতর অভিযোগ এবং নৈতিক স্খলনের প্রতিবাদে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাকে এই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর আমি সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসেই অবস্থান করি। শুধু নিজের স্বার্থের কথা ভাবি, এমন কথা যুক্তিহীন। তাছাড়া জমি দখলের অভিযোগের বিষয়েও কেউ কোনো উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারবে না। এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।