ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। মুক্তি পেতে চলেছে তার সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’। সে সিনেমার প্রচার-প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। এসবের মধ্যেই হঠাৎ বিতর্কে জড়াল তার নাম।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সিনেমার প্রচারণার জন্য গিয়েছিলেন মেহজাবীন। সেখানে টিএসসির দেয়ালে ‘প্রিয় মালতী’র কিছু পোস্টার সাঁটিয়ে দেন তিনি।
আর এই কাজ করতে গিয়েই সমালোচনার মুখে পড়েন মেহজাবীন। জানা গেছে, টিএসসির দেয়ালে ২০১৬ সালে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপর নিজের সিনেমার পোস্টার লাগিয়ে দেন এই অভিনেত্রী।
এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশীদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহজাবীনকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ ফেসবুকে মেহজাবীনকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, আমার শহীদ বোন তনুকে চেনেন না মেহজাবীন? কার গ্রাফিতির ওপর পোস্টার লাগালেন? অবিলম্বে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চান।
রিফাতের এ মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
পরবর্তীতে সন্ধ্যায় টিএসসিতে হাজির হয়ে সশরীরে উপস্থিত থেকেই সে গ্রাফিতির ওপর সাঁটানো সিনেমার পোস্টার তুলে ফেলেন তিনি।
ফেসবুকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে মেহজাবীন লিখেছেন, ভুলবশত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত অব্যবস্থাপনার কারণে একটি পোস্টার সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপর লাগানো হয়ে যায়। এটি পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত ছিল। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পোস্টার সরিয়ে নিয়েছি এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেছি।
তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের চলচ্চিত্রের মূল লক্ষ্যই ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই। এটি আমাদের হৃদয়ের গভীর অনুভূতি। এই ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল এবং আমি আশা করি, সবাই এটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনা তখন সমগ্র দেশে আলোড়ন তোলে এবং শিক্ষার্থীরা ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল হয়।