নারী শিক্ষায় নবীজির ভাবনা ও কর্মপন্থা

:: মুফতি গোলাম রাজ্জাক কাসেমী ::
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মানবতার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগে সর্বপ্রথম নারী জাতির পূর্ণ মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। নারীর শিক্ষা বিস্তারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে ইতিহাসের কালজয়ী অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীকে যে গুরুত্ব ও মর্যাদা দান করেছেন, তা ভাস্বর হয়ে থাকবে মহাকাল। তিনি নারীকে যে অধিকার প্রদান করেছেন, তা অতীত ও বর্তমানের কোনো ব্যক্তি, আইন, জীবনপদ্ধতি দান করতে পারেনি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন, জাহেলি সমাজ নারীর প্রতি চরম অবজ্ঞা, জুলুম ও অন্যায়-উৎপীড়ন করছে।
এমনকি জাহেলি সমাজ নারীকে অমঙ্গলের লক্ষণ ভাবত এবং কন্যাসন্তানকে জীবন্ত দাফন করে ফেলত। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘ আমরা জাহেলিয়াতের মধ্যে ডুবে ছিলাম। নারীদের কোনো গুরুত্ব দিতাম না। যখন ইসলাম আবির্ভূত হল এবং আল্লাহ তাআলা তাদের (মর্যাদার কথা) উল্লেখ করলেন, তাতে আমরা দেখলাম, আমাদের উপর তাদের হক আছে, এতে আমাদের হস্তক্ষেপ করা চলবে না।’ (বুখারি : ৫৮৪৩)। এই অত্যাচারী সমাজ যখন নারীদের জীবন অন্ধকারের প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করেছিলÑ তখন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম মেয়েদের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন, তাদের মর্যাদা সমুন্নত করেন এবং কন্যাসন্তানের উত্তম তারবিয়াতের প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহ প্রদান করেন।
জ্ঞান অর্জনের বিষয়ে নরী-পুরুষের ব্যাপারে নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অভিন্ন। এ ক্ষেত্রে তিনি নারীকে পুরুষের সমান মর্যাদার অধিকারী করেছেন এবং নারী শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করেছেন। এ প্রসঙ্গে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘প্রত্যেক (নর-নারী) মুসলমানের জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ।’ (ইবনে মাজাহ : ২২৪)।
উক্ত হাদিসে জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে নারী পুরুষের মাঝে কোনো পার্থক্য করা হয়নি। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারা দুই আয়াতের মাধ্যমে শেষ করেছেনÑ যা আমাকে আরশের নিচের ভান্ডার থেকে প্রদান করা হয়েছে। অতএব এগুলো তোমরা নিজেরা শিখ ও তোমাদের নারীদের শেখাও।’(দারেমি : ৩৪৩০)। আনসারি নারীরা দ্বীনের গভীর জ্ঞানার্জনে অনেক আগ্রহ রাখতেন, তাই আয়েশা (রা.) তাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আনসারি নারীরা কত ভালো! দ্বীনী জ্ঞানার্জনে লজ্জা তাদের প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করে না।’ (মুসলিম : ৩৩২) মূলত ইসলাম শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে কখনোই নর-নারীভেদে ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেনি, বরং এটি সবার জন্যই অবধারিত করা হয়েছে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর মর্যাদা ও শিক্ষা-দীক্ষার উন্নতিকল্পে দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে এমন সব পন্থা ও পদ্ধতি অবলম্বন করতেন, যাতে তা মানুষের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। এসব কাজের মাধ্যমে তিনি মানুষকে উৎসাহিত করেছেনÑ যেন তারা পুত্র ও কন্যাদের তারবিয়াত দেন, তাদের চরিত্র গঠন করেন এবং আদব-লেহাজ, আহার-বিহার, পোশাক-পরিধান তথা সব কিছু শিক্ষাদানের ব্যাপারে সমতা রক্ষা করে। এমনকি যে পিতা কন্যাদের সুন্দররূপে তারবিয়াত দেয় এবং পুত্রদের তাদের ওপর প্রাধান্য না দেয়, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে অবহেলা ও অবজ্ঞা করা যাবে না।
কন্যাদের প্রতিও পুত্রদের সমান গুরুত্ব দেওয়ার প্রতি উৎসাহ দিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘কারো যদি একজন কন্যা সন্তান থাকে এবং সে তাকে হত্যা করে নি, কোনো প্রকার অবহেলা করেনি এবং পুত্র সন্তানকে কন্যা সন্তানের ওপর কোনো প্রকার প্রাধান্য দেয়নি। আল্লাহ তাকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (আবু দাউদ : ৫১৪৬)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময়ে নারীদের শিক্ষা-দীক্ষা দেওয়ার জন্য নারীর মাতা-পিতাকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে তিনটি কন্যাসন্তান অথবা তিন বোন প্রতিপালন করল, তাদের শিষ্টাচারিতা শিক্ষা দিল এবং তাদের প্রতি দয়া করল, অবশেষে আল্লাহ তায়ালা তাদের মুখাপেক্ষীহীন করে দিলেন। তাহলে তার জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাত অবধারিত করে দেবেন। তখন জনৈক সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! দুটি কন্যা প্রতিপালন করলেও? তিনি উত্তরে বললেন, দুটি করলেও।’ (মিশকাত : ৪৯৭৫)। অন্য হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদেরকে উত্তম শিক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তোমরা নারীদের উত্তম উপদেশ দাও (অর্থাৎ উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত করো)।’ (বুখারি : ৩৩৩১)।
নারী শিক্ষার গুরুত্ব চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে নিচের হাদিসে :
একবার এক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল,
“হে আল্লাহর রাসুল! আপনার হাদিস তো কেবল পুরুষরা শুনতে পায়। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিন, যে দিন আমরা আপনার কাছে আসব, আল্লাহ্ আপনাকে যা কিছু শিখিয়েছেন তা থেকে আপনি আমাদের শেখাবেন।’
তিনি বললেন,
‘তোমরা অমুক অমুক দিন অমুক অমুক জায়গায় একত্রিত হবে।’
সে মোতাবেক তারা একত্র হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে এলেন এবং আল্লাহ তাঁকে যা কিছু শিখিয়েছেন তা থেকে তাদের শিক্ষা দেন।” (বুখারি : ৭৩১০)।

আশ-শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমি হাফসাহ (রা.)-এর নিকট ছিলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,
‘তুমি কি ওকে (হাফসাকে) যেভাবে লেখা শিখিয়েছো, সেভাবে পিঁপড়া (পোকা) কামড়ের ঝাড়ফুঁক শিক্ষা দিবে না?’ (আবু দাউদ : ৩৮৮৭)।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রীতদাসীকেও শিক্ষাদানের ব্যাপারে মুসলিম সমাজকে উৎসাহিত করেন। অথচ তাদের ব্যাপারে কেউ কোনো দিন চিন্তাও করত না। তিনি বলেন,
‘কারো যদি ক্রীতদাসী থাকে, আর সে তাকে উত্তমরূপে বিদ্যা ও শিষ্টাচার শিখিয়ে স্বাধীন করে দেয়। অতঃপর তাকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করে, তাহলে তার জন্য দুটি পুরস্কার রয়েছে।’ (বুখারি : ৯৭)।
এভাবে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম নারীদের অন্তরে জ্ঞানার্জনের তীব্র স্পৃহা সৃষ্টি করেছিলেন। এর ফলে হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে ইসলামের প্রথম যুগের মহিলারা ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছিলেন। ইবনে সাদ তাঁর ‘তাবাকাতে’ ৭০০ মহিলার নাম উল্লেখ করেছেন, যাঁরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বা তাঁর সাহাবিদের থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) তাঁর ‘আল-ইসাবাহ ফি তামায়িজিল হাদিস’ নামক গ্রন্থে এক হাজার ৫৪৩ জন মহিলা হাদিসবিশারদের নাম উল্লেখ করেছেন এবং তাঁদের পা-িত্য ও বিশ্বস্ততার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) ছিলেন নারী শিক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বহুসংখ্যক সাহাবি ও তাবেয়ি তাঁর কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেন এবং ইলমে দ্বীন শিক্ষা লাভ করেন। মুসলিম রমণীদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম শিক্ষিকা, সর্বোচ্চ মুফতি, সবচেয়ে জ্ঞানবতী ও বিচক্ষণা। সেই যুগে জ্ঞানের জগতে তাঁর ছিল অসাধারণ ভূমিকা। আরবদের ইতিহাস, চিকিৎসাবিদ্যা ও পদ্য সাহিত্যে তিনি ছিলেন অধিকতর জ্ঞানী, সঠিক সিদ্ধান্ত ও দৃঢ় যুক্তি উপস্থাপিকা, জাগতিক জ্ঞানে অধিক পারদর্শী আর দ্বীনের বিষয়ে অধিক বোধসম্পন্না। তাফসির, হাদিস, ফারাইজ, আরবি সাহিত্য ও নসবনামা সম্পর্কে পূর্ণ পান্ডিত্ব এবং বাগ্মিতায়ও তাঁর সুখ্যাতি ছিল। এমনিভাবে উম্মুল মুমিনিন উম্মে সালমা, হাফসা, উম্মে হাবিবা, আসমা বিনতে আবু বকর ও উম্মে আতিয়্যার মতো আনসারি নারীরাও জ্ঞানার্জনে ঈর্ষণীয় মর্যাদা অর্জন করেছেন। বড় বড় তাবেয়িগণ তাদের থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন।
নবীজির যুগে এবং পরবর্তী যুগগুলোতেও মুসলিম নারীগণ চিকিৎসাবিজ্ঞান, কাব্য, সাহিত্য, আইন প্রভৃতি জ্ঞান চর্চায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমকালীন অনেক নারীই চিকিৎসাসেবার সাথে জড়িত ছিলেন। যুদ্ধে আহতদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যুদ্ধেও গমন করেছিলেন। নুসাইবা বিনতে কাব আল-আনসারী (রা.) ছিলেন মদীনার একজন প্রখ্যাত নারী চিকিৎসক। উম্মে আম্মারা নামে অধিক খ্যাত এই নারী সাহাবি। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মদীনায় হিজরতের পূর্বেই ইসলামগ্রহণ করেছিলেন। উহুদের যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ (সা.) কে প্রতিরক্ষার জন্য তার লড়াইয়ের কারণে তিনি ইতিহাসে অধিক পরিচিত।
রুফাইদা বিনতে সাদ আল-আসলামিয়া (রা.) ছিলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমকালীন মদীনার অপর একজন নারী চিকিৎসক। তাকে ‘ইসলামের প্রথম নার্স’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি মূলত তার চিকিৎসক পিতা সাদ আল-আসলামীর নিকট থেকে চিকিৎসাবিদ্যা সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় এতই বুৎপত্তি অর্জন করেন যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধে আহত সকল সৈনিককে তার নিকট চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করতেন।
শিফা বিনতে হারেস ইসলামে সর্বপ্রথম পারিবারিক শিক্ষিকা ও উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান ও উম্মে শারিক ইসলামের প্রসিদ্ধ দায়ি ছিলেন। নারী তাবেয়িদের মধ্যে হাফসা বিনতে সিরিন ইবাদত, ফিকহ ও কোরআন-হাদিসের সুগভীর জ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) একজন নারী শিক্ষিকা নাফিসা বিনতুল হাসানের ক্লাসে অংশগ্রহণ করতেন এবং তাঁর থেকে হাদিস শুনতেন। হাফেজ ইবনে আসাকির (রহ.) ৮০ জনের অধিক নারীদের থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। এ রকম মহীয়সী নারীদের নিয়ে স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচিত হয়েছে, যা অধ্যয়নে আমাদের উজ্জ্বল অতীত অনুভূত হয়।
মধ্যযুগেও মুসলিম নারীরা বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। ইবনে আল-জাওযী, ইবনে আল-খতীব বাগদাদী এবং ইবনে কাসীরসহ প্রমুখ ঐতিহাসিক দশম শতাব্দীর একজন নারী গণিতবিদের প্রশংসা করেছেন। সুতাইতা আল-মাহামালি নামের এই নারী গণিতবিদ বাগদাদের এক বিদ্যোৎসাহী পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার পিতা ছিলেন বাগদাদের একজন বিচারপতি ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিত্ব। গণিতের বিভিন্ন শাখায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এছাড়া একইসাথে তিনি আরবি সাহিত্য, হাদিস এবং আইনশাস্ত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ৩৭৭ হিজরি মোতাবেক ৯৮৭ ঈসায়ীতে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মধ্যযুগে আন্দালুসিয়ার উমাইয়া দরবারের একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন লুবনা আল-কুরতুবিয়া। তিনি একাধারে গণিত, কাব্য, ব্যাকরণ ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উপর বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তার জ্ঞানগত দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার কারণে তিনি খলীফা ৩য় আবদুর রহমান এবং তার পুত্র ২য় আল-হাকামের দরবারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মহানবীর শিক্ষায় অনুপ্রণিত হয়ে এভাবেই বহু মুসলিম নারী জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানান শাখায় শ্রেষ্ঠত্ব ও যোগ্যতার সাক্ষর রেখেছিলেন।
নারী শিক্ষা উন্নয়নে নবীজির ভাবনা ও অগ্রণী ভুমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল।

লেখক: মুফতি গোলাম রাজ্জাক কাসেমী।
মুহাদ্দিস ও বিভাগীয় প্রধান (আরবি ভাষা ও সহিত্য), মাহমুদিয়া মাদরাসা, নারায়ণগঞ্জ।
পরিচালক, তানমিয়াহ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ